• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    লালমনিরহাটে ফুলকপি চাষ করে কৃষকের মাথায় হাত 

     dailybangla 
    03rd Jan 2025 5:30 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষকরা ফুলকপি চাষবাদ করেছে অনেক স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু এখন উৎপাদন খরচই মিটছে না। ফলে লোকসানের শঙ্কা আর ঋণের বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন যাচ্ছে লালমনিরহাটের কৃষকদের।

    জানা গেছে, স্বল্প খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রোপণ করা ফুলকপি এবার লোকসানে ফেলেছে চাষিদের। শীতের সবজি হিসেবে প্রথম দিকে বাজারে চাহিদা থাকায় মুনাফা ভালো পেলেও দিন দিন ফুলকপির বাজারে দরপতন ঘটছে। ফলে পারিশ্রমিক তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচও জুটছে না চাষিদের। উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে চাষিদের ফসল। যার কারণে ঋণের বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তায়ও পড়েছেন তিস্তা ধরলা নদী বেষ্টিত জেলা লালমনিরহাটের কৃষকরা।

    কৃষকরা বলছেন, প্রতি বছর শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাহিদা থাকে। চাহিদা থাকায় দামও ভালো পান তারা। লাভের আশায় চলতি মৌসুমেও অনেকেই ফুলকপি ও বাঁধা কপির চাষাবাদ করেছেন। কিন্তু এ বছর নানান জাতের সবজিতে বাজার ভরে যাওয়ায় উৎপাদন ভালো হলেও মুনাফার অংক শূন্যের ঘরে। প্রতিটি কপির উৎপাদন খরচ পড়ে ৮/১০ টাকা। সেখানে বর্তমান বাজারে চাষিদের ক্ষেতে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫/৬ টাকা দামে। ফলে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। এছাড়া চাষিদের পারিশ্রমিকও প্রায় শূন্য। যারা ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন তারা তা কীভাবে শোধ করবেন তা নিয়ে পড়েছেন দুর্ভাবনায়।

    লালমনিরহাটের কমলাবাড়ি সবজি গ্রাম নামে খ্যাত। সেখানেও কপির চাষ করেছেন চাষিরা। এছাড়া সদর উপজেলার মোগলহাট এলাকায়ও প্রচুর চাষাবাদ হয় ফুলকপি ও বাঁধাকপির। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে লালমনিরহাটের চাষিদের উৎপাদিত ফুলকপি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়। জেলার চাষিরা ক্ষেতেই এসব ফসল বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে। তারা ট্রাক বোঝাই করে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।

    বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া বলেন, ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি। এ জমিতে রোপণ করা ৫ হাজার চারায় উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রতি পিস ৮/১০ টাকা। এখন ফুলকপির দাম প্রতি পিস ক্ষেতে বিক্রি করতে হচ্ছে ৫/৬ টাকা দামে। এটা এমন ফসল, পরিপক্ক হলে আর ক্ষেতে রাখা যায় না। রাখলে ক্ষেতেই নষ্ট হয়। উৎপাদন খরচই পাচ্ছি না। এর ওপর ঋণের বোঝা রয়েছে। ঋণ পরিশোধ করব কী দিয়ে, আবার পরিবারের খরচসহ আগামীতে ফসল উৎপাদনের টাকাও রইল না। বেশি দামে বীজ-সার কিনে কম দামে ফসল বিক্রি করলে তো মূলধন হারিয়ে যাচ্ছে।

    একই গ্রামের প্রান্তিক চাষি নুর নবী বলেন, মাত্র ১৪ শতাংশ জমি তাতে ফুলকপির চাষ করেছি। স্বপ্ন ছিল এর মুনাফা দিয়ে পরে আলু ও মরিচ চাষ করব। কিন্তু ফসল বিক্রি করে দেড় হাজার টাকা লোকসান। পারিশ্রমিক তো নেই। এখন আলু বা মরিচের চাষাবাদ কেমনে করব জানি না। পরিবারের খরচই বা মিটাব কী দিয়ে। গরিব কৃষকের মরণ চার দিকে। চাষাবাদ না করলে না খেয়ে মরতে হয়, করলে আবার লোকসান গুনতে হয়।

    লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ হয়েছে। বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির যোগান হওয়ায় দাম কমে এসেছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপিই শুধু নয়, সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930