শরীফ ওসমান বিন হাদীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ঝালকাঠি
মনিরুজ্জামান মনির,ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সন্তান ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী (ওসমান হাদী) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নলছিটি পৌর শহরের খাসমহল এলাকাসহ পুরো ঝালকাঠি জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মৃত্যুর খবর প্রকাশের পরপরই সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় ও নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়।
নলছিটির খাসমহলে ওসমান হাদীর নিজ বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড় জমে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বড় বোন মাসুমা আক্তার ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মা, স্ত্রী, শিশু সন্তান, ভাই ও বোনসহ তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে নলছিটি পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রসমাজ টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে। এ সময় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। একই দাবিতে রাত ১০টার দিকে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকাতেও বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করা হয়।
বিক্ষোভের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা জানান, ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জড়িতদের গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
শুক্রবার দুপুরে ওসমান হাদীর মরদেহ গ্রহণের উদ্দেশ্যে তাঁর বড় বোন মাসুমা আক্তার ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন ঢাকায় রওনা হন। এ সময় ভগ্নিপতি আমির হোসেন বলেন, “ওসমান হাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হবে।” পাশাপাশি তিনি মরহুমের স্ত্রী ও শিশু সন্তানের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিআলো/ইমরান



