শরীফ ওসমান বিন হাদীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ঝালকাঠি
বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ
মনিরুজ্জামান মনির, ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সন্তান ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী (ওসমান হাদী) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নলছিটি পৌর শহরের খাসমহল এলাকাসহ পুরো ঝালকাঠি জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
শরীফ ওসমান বিন হাদীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় ও নলছিটির খাসমহল এলাকায় স্বজন ও সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন।
নলছিটির খাসমহল এলাকায় তাঁর নিজ বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড় জমে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওসমান হাদীর বড় বোন মাসুমা আক্তার ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মা, স্ত্রী, শিশু সন্তান, ভাই ও বোন নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নলছিটি পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রসমাজ টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে। এ সময় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। একই দাবিতে রাত ১০টার দিকে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকাতেও বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা জানান, ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জড়িতদের গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে।
শুক্রবার দুপুরে ওসমান হাদীর মরদেহ গ্রহণের জন্য তাঁর বড় বোন মাসুমা আক্তার ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ভগ্নিপতি আমির হোসেন জানান, ওসমান হাদীর ইচ্ছা অনুযায়ী বাবার কবরের পাশেই তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে তিনি মরহুমের স্ত্রী ও শিশু সন্তানের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিআলো/তুরাগ



