শিক্ষায় খেলাধুলা ও ‘হ্যাপিনেস কারিকুলাম’ আনতে চান আমিনুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষার প্রচলিত বইমুখী কাঠামোকে বদলে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দমুখর, প্রাণবন্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে “হ্যাপিনেসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম” চালুর পরিকল্পনার কথা জানালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক এবং ঢাকা–১৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল হক। তিনি বলেন, শিশুদের শিক্ষাজীবন শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; তাদের বিকাশে খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
রোববার রাজধানীর পল্লবীর আদর্শ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আমিনুল হক বলেন, “আমাদের বাচ্চারা শুধু পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ থাকবে—এটা আমরা চাই না। খেলাধুলার সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নতুন ধারার শিক্ষা সামনে আনতে চাই।”
শিক্ষার মান বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আধুনিক অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা উন্নত করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে “আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ” গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহ কমে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আমিনুল হক বলেন, “অনেকে অন্যান্য চাকরি না পেলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকতায় আসেন। আমরা চাই শিক্ষকতার পেশা হবে সম্মানজনক ও আকর্ষণীয়।” তিনি জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তিনির্ভর পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে আমিনুল হক বলেন, “আমি পরিবর্তনের কথা বলতে চাই। আগামী বাংলাদেশে কৃষকদের জন্য কৃষক কার্ড হাতে হাতে পৌঁছে দিতে চাই।” তাঁর দাবি, এই কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা বীজ, উৎপাদন সহায়তা এবং ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন।
এছাড়া দেশের প্রতিটি পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। আমিনুল হক বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে চাল–ডালসহ জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার তথ্য ও সুবিধাও এতে সংযুক্ত থাকবে।
সরকারের সমালোচনায় তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করা হয়েছে।”
তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব রাখা হবে না।”
বিআলো/তুরাগ



