শেখ হাসিনা জনগণের জানমাল রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন দমনে কখনো হেলিকপ্টার বা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি, বরং জনগণের জানমাল রক্ষা ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণে জেরার সময় তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি; বরং পরিস্থিতির কারণে তাকে ভারতে যেতে বাধ্য হতে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ৩ আগস্ট সরকার পতনের জন্য ডাকা কর্মসূচি ছিল দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ, যার পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তি সক্রিয় ছিল। রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধানে দেশি-বিদেশি প্রভাবের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার প্রস্তাবও তোলা হয়েছিল।
তার দাবি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি। সুতরাং শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে এ ধরনের অভিযোগে দায়ী করা যায় না।
তবে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন সাক্ষী নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সারাদেশে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের ঘটনার তথ্য তিনি সরাসরি এনসিপির সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিসের কাছ থেকে পেয়েছেন।
বেলা ১১টার পর শুরু হওয়া জেরা চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। পরে বিরতি শেষে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেরা অব্যাহত থাকে। শুনানিতে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআলো/এফএইচএস