শেফা মৎস্য ও এগ্রো খামারের সাফল্যের গল্প
অর্থনৈতিক ডেস্ক: চরমোনাই, বরিশাল সদর, বরিশালের গ্রামীণ এক প্রান্ত। এখানেই গড়ে উঠেছে এক অসাধারণ সাফল্যের কাহিনি—শেফা মৎস্য ও এগ্রো খামার। সীমাবদ্ধতা, অভাব, আর জীবনের অসংখ্য চ্যালেঞ্জকে পেছনে ফেলে খামারটি আজ একটি অনুপ্রেরণার নাম। প্রথমে ছোট পরিসরে বেগুন ও ফুলকপি চাষ করত শেফা মৎস্য ও এগ্রো খামারের উদ্যোক্তা। এই ফসল চাষে যা আয় হতো, তা দিয়ে সংসার ঠিকমতো চলত না। কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে খামারের উদ্যোক্তা নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন।
এই সময় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)-এর টার্ম লোন (Agri & Rural) প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লক্ষ টাকার লোন নেন। এই লোন ছিল তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মূল হাতিয়ার। লোনের টাকায় ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেন এবং মরিচ ও পেঁপে চাষ শুরু করেন। লোন গ্রহণের পর, সঠিক প্রশিক্ষণ ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি দ্রুতই সফলতা অর্জন করেন। মৌসুমের শুরুতেই শেফা মৎস্য ও এগ্রো খামার মরিচ ও পেঁপে বিক্রি করে আয় করে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। এই আয় শুধু তার পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করেনি, বরং খামারের পরিসর বাড়ানোর জন্যও তাকে সক্ষম করেছে।
আজ শেফা মৎস্য ও এগ্রো খামার স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মরিচ ও পেঁপে চাষে তার সাফল্য দেখে অনেকেই কৃষিতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উদ্যোক্তা বলেন, “ইউসিবি আমাকে শুধু লোন দেয়নি, বরং আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সাহস জুগিয়েছে। এখন আমি নিজের পরিবার ও গ্রামকে উন্নত করার জন্য কাজ করছি।” শেফা মৎস্য ও এগ্রো খামার এখন শুধু একটি কৃষি উদ্যোগ নয়; এটি চরমোনাই বাসির জন্য একটি প্রেরণার নাম। উদ্যোক্তার পরিশ্রম, সঠিক পরিকল্পনা এবং ইউসিবির সহযোগিতায় আজ এটি বরিশাল অঞ্চলে একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিআলো/ইমরান