শ্রেণি শিক্ষকের অবহেলায় এইচএসসি ফরম পূরণ থেকে বাদ ২ শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
সীমা আক্তার: উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ থেকে বাদ পড়েছে শ্রেণি শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে। এ ঘটনায় শিক্ষক ড. মো. আমিনুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও ইয়াছিন আরাফাত ২০২৫ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হারিয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা দুঃখিত। একজন শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলা যে কত বড় ক্ষতি করতে পারে, এটি তার জ্বলন্ত উদাহরণ।”
তিনি জানান, চলতি বছর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ মিলিয়ে ১৬১৩ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ফরম পূরণ করা হয়েছে ১৬৯৩ জনের। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, ড. মো. আমিনুর রহমান তার শাখার ৮২ জন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে অন্য দুইজনের ফরম পূরণ করেন। অধ্যক্ষের ভাষায়, “এটি কোনো প্রক্রিয়াগত ভুল নয়, বরং সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত অসদাচরণ ও নৈতিক লঙ্ঘন।”
ঘটনার পরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তি এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার জানান, দুই শিক্ষার্থীর ক্ষতি পুষিয়ে দিতে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কলেজের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আবেদন করেছে যাতে মানবিক বিবেচনায় তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী অধ্যাপক দিল আফরোজ ডেইজি বলেন, “ড. আমিনুর রহমান ছিলেন ঐ ক্লাসের মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক। তার ভুলের কারণে দুই শিক্ষার্থী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপে পিছিয়ে পড়েছে।” তিনি দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে কঠোর নজরদারি দাবি করেন।
বিআলো/তুরাগ