সংবাদপত্রের কালো দিবসে অধিকাংশ গণমাধ্যম নিরব: ডা. জাহিদ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ১৬ জুন এতগুলো পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু কয়টা পত্রিকায় আজকের বিষয়টি উল্লেখ করে লেখা প্রকাশিত হয়েছে? অত্যন্ত দুঃখজনক যে, অধিকাংশ মিডিয়ায় আজকের দিনটির বিষয়ে কিছুই লেখা হয়নি। ১৬ জুন বলতে যে কিছু আছে বা ছিল সে বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নাই। তাই আপনাদেরই এ বিষয়ে লিখতে হবে।’
সোমবার সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক এবং বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডা. জাহিদ বলেন, তৎকালীন সরকার চারটি পত্রিকা রেখে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। এজন্য ১৬ জুনকে সংবাদপত্রের জন্য কালো দিবস হিসেবে ১৯৭৮ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে। দুঃখের বিষয় দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ, পিআইবি পৃথক অনুষ্ঠান করতে পারতো, কিন্তু তা হয়নি। এসব বিষয়ে চিন্তা করার সময় তাদের হয়তো আসেনি।
তিনি আরো বলেন, আজকের দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি বিবৃতি দিয়েছেন। আমার জানামতে আর কোনা রাজনৈতিক দলের নেতা এ বিষয়ে কিছু লেখেননি। সুতরাং বিএনপি আপনাদের সঙ্গে ছিল এবং সবসময় পাশে থাকবে ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমের প্রতি যে নিপীড়ন চালিয়েছেন সেটা দুনিয়ার ইতিহাসে আর কোথাও হয়নি। আমরা চাই একটি মানবিক দেশ যেখানে কোনো গুম, খুন, হত্যা, মামলা নির্যাতন থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, ৫০ বছর পরও কেন আমরা সংবাদ পত্রের কালো দিবস নিয়ে আলোচনা করি? কারণ, সংবাদপত্রের ইতিহাসে এমন দিন আর কখনো আসেনি। সেদিন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে সংবাদপত্রের গলা চেপে ধরা হয়। সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে বেইমানি করা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব বাসির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খন্দকার হাসনাত করিম পিন্টু, আব্দুল আওয়াল ঠাকুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, তালুকদার রুমি প্রমুখ।
বিআলো/সবুজ