সকালের খাবারেই লুকিয়ে আছে সারাদিনের শক্তি
বিআলো ডেস্ক: “দিনের শুরু যেমন হবে, পুরো দিনটাই তেমন কাটবে”— স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কথাটির গভীর তাৎপর্য রয়েছে। কারণ, সকালের নাশতা শরীর ও মনের কর্মক্ষমতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে।
তাই দিনের প্রথম আহারটিকে বলা হয় ‘দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার’। সুস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং সারাদিন সতেজ থাকতে নাশতায় পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়ার বিকল্প নেই।
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, নিয়মিত নাশতায় রাখা যেতে পারে এমন কিছু খাবার—
* ডিম-
প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস ডিম। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে। সেদ্ধ, পোচ কিংবা অমলেট— যে কোনোভাবেই খাওয়া যায়।
* ওটস-
ফাইবারসমৃদ্ধ ওটস দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এতে হজমশক্তি বাড়ে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* স্মুদি-
ফল আর দুধ কিংবা দই মিশিয়ে তৈরি স্মুদি গরমকালে শরীরকে শীতল রাখে। একই সঙ্গে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে। চাইলে মৌসুমি ফল ব্যবহার করে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।
* বাদাম ও বীজ-
কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, চিয়া সিডস, ফ্ল্যাক্স সিডসের মতো বাদাম ও বীজ শরীরকে স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ক ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী।
* ফলমূল-
আপেল, কলা, কমলা কিংবা মৌসুমি যেকোনো ফল ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। এগুলো শরীরকে সতেজ রাখে, ত্বক ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত এই খাবারগুলো নাশতায় রাখলে কেবল শক্তি জোগাবে না, বরং সার্বিক সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তাও দেবে।
সকালের নাশতায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত-
* তেলে ভাজা খাবার: পরোটা, পুরি, সিঙ্গারা, সমুচা ইত্যাদি অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার সকালে শরীরকে ভারী করে ফেলে।
* অতিরিক্ত মিষ্টি: কেক, মিষ্টি বা চিনিযুক্ত পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে পরে দ্রুত কমিয়ে দেয়, ফলে অলসতা আসে।
* কোল্ড ড্রিংকস বা কার্বোনেটেড পানীয়: এগুলো পেট ফাঁপা ও হজমের সমস্যা বাড়ায়, শরীরের জন্য কোনো পুষ্টিও দেয় না।
* শুধু চা/কফি: অনেকেই নাশতা না খেয়ে কেবল চা বা কফি পান করেন, যা অ্যাসিডিটি ও পুষ্টিহীনতার কারণ হতে পারে।
দিনের ভালো সূচনা চাইলে নাশতায় এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, আর বেছে নিতে হবে পুষ্টিকর খাবার।
বিআলো/শিলি