• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি-ডিম-মুরগিতে স্বস্তি, মাছ-পেঁয়াজের দাম চড়া 

     dailybangla 
    02nd May 2025 1:00 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। প্রতি কেজি সবজির দাম কমে এখন ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে স্বস্তি বিরাজ করছে চাল, ডিম ও মুরগির বাজারে। বেড়েছে মাছের দাম। মাছের বাজার চড়া হওয়ায় ডিম, মুরগির বাজারে বেড়েছে চাহিদা।

    শুক্রবার (২ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। করলা, বেগুন, বরবটি, চিচিঙার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এর চেয়ে বেশি দর দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকায়। সজনে ডাটার দর সবসময় কিছুটা বেশি থাকে। এর কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।

    এদিকে, মাছের বাজারেও বেশ চড়াভাব দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। এতে নদীর কিছু মাছের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি জাটকা ধরা বন্ধ থাকায় অনেক নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ আছে। যে কারণে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশসহ চিংড়ি মাছের দাম। প্রতি ৭০০ গ্রামের একহালি ইলিশ ৫ হাজার টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতিপিস দুই থেকে তিন হাজার টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ৪০০-৫০০ গ্রামের মাছ ১২০০-১৫০০ টাকা প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    পাশাপাশি ঈদের পর থেকে চড়া পেঁয়াজের বাজার। ওই সময় কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে দাম। এখন বাড়তি দামে আটকে আছে। খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও ৫ টাকা বেশি।

    তবে বাজারে এখন মুরগি ও ডিমের দামে অনেকটা স্বস্তি আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    বেশ কয়েক সপ্তাহ নিম্নমুখী ডিমের দরে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দামে। মাসখানেক ধরেই এই দামের আশপাশে রয়েছে ডিমের দর।

    এদিকে নতুন মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৮০ টাকায়। যেখানে পুরোনো একই চালের দাম ৭৮ থেকে ৮৮ টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে চালের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৪ থেকে ৮ টাকা কমেছে।

    বাজারে মোটা চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, মাঝারি চালের দাম ৬৪ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সরু নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।

    বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর বাজারে চালের দাম কমছে। গত বছরের শুরুতে বন্যার কারণে চালের দাম বেড়েছিল, এরপর বছরখানেক প্রায় চড়া ছিল বাজার। এবার বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে, ফলে বাজারে চালের দাম আরও কিছুটা কমতে বলে মনে করছেন তারা।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930