• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ পেল ৩ ব্যাংক 

     dailybangla 
    01st Jan 2025 2:11 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো প্রতিবেদক: বছরের ঘাটতি পূরণ করতে বেসরকারি খাতের তিন ব্যাংককে বিশেষ ঋণ হিসেবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই টাকা দিয়ে ব্যাংকগুলো গত সোমবার বছরের শেষ দিনের চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণ করেছে। এর মাধ্যমে ব্যাংক তিনটির চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে।

    বিশেষ ঋণ পাওয়া ব্যাংক তিনটি হলো ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক।

    বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর্থিক হিসাবের সুবিধার জন্য তিন ব্যাংককে দেওয়া ধারের এই টাকা বুধবার (১ জানুয়ারি) ফেরত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া ধারের বাইরে আলাদা করে তারল্য সহায়তা হিসেবে এবি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ব্যাংক তিনটি বড় ধরনের তারল্যসংকটে পড়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানায় যুক্ত হয়ে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ একাই ঋণের নামে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকটি থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের মালিকানায় থাকা সিকদার গ্রুপের পাশাপাশি ব্যাংকটি থেকে বেক্সিমকো, মাইশা, বসুন্ধরা, এফএমসি, সাইফ পোর্ট হোল্ডিং ও সাইফ পাওয়ারটেক, নাসা, ফু–ওয়াং ফুড ও এসএস স্টিল ও কর্ণফুলী গ্রুপ ঋণের নামে বড় অঙ্কের অর্থ বের করে নিয়েছে। এসব ঋণ এখন আর নিয়মিত আদায় হচ্ছে না। এরই মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে নেওয়া আওয়ামী লীগ দলীয় প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মাইশা গ্রুপের ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। এই ব্যাংকের খেলাপি অন্য গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে ব্লুম সাকসেস ইন্টারন্যাশনাল, ব্রডওয়ে রিয়েল এস্টেট, নুরজাহান গ্রুপ, ডাইকিং স্মার্ট ব্যাটারি, এহসান গ্রুপ, মিলেনিয়াম গ্রুপ, ওপেক্স সিনহা গ্রুপ, মরিয়ম কনস্ট্রাকশন, আরএসএ ক্যাপিটাল, কেয়া কসমেটিক, ইনডিপেনডেন্ট টিভি ও জিএমজি এয়ারলাইনস।

    অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারল্যসংকটে ভুগছে এবি ব্যাংকও। ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা বিএনপি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটি তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ব্যাংকটিতে বড় ধরনের অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণ অনিয়মের কারণে ব্যাংক তিনটি অনেক দিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত নগদ জমার হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার হার (এসএলআর) সংরক্ষণ করতে পারছে না। এসএলআরের জন্য এসব ব্যাংকের কাছে যেসব ট্রেজারি বিল ও বন্ড ছিল, তা বন্ধক রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করেছে ব্যাংকগুলো। ফলে নতুন করে ধার নেওয়ার মতো কোনো উপায় বা উপকরণ এসব ব্যাংকের হাতে নেই। এ জন্য বছরের শেষ দিনের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত দেখাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক তিনটিকে বিশেষ ঋণ দেওয়া হয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে ন্যাশনাল ব্যাংক ঋণ পেয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা ও এবি ব্যাংক পেয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এসব ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে সুদ দিতে হবে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে। গত সোমবার ধার দেওয়া এই অর্থ বুধবার (১ জানুয়ারি) ফেরত নেওয়া হবে।

    জানা গেছে, এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণের বাইরে এবি ব্যাংককে আরও ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির দৈনন্দিন তারল্য চাহিদা মেটাতে এই অর্থ ঋণ দেওয়া হয়েছে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930