সাবেক আইজিপির বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের জিনিসপত্র নিলামে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমদের গুলশানের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে থাকা ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। এরই মধ্যে ২৪৬টি আইটেমের তালিকা তৈরি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তত্ত্বাবধানে গঠিত নিলাম কমিটি।
র্যাংকন আইকন টাওয়ারের চারটি আধুনিক ফ্ল্যাট একত্র করে বেনজীর যে ডুপ্লেক্স ইউনিট গড়েছিলেন, সেখানে ছিল সুইমিংপুল, মিনি থিয়েটার, আধুনিক বিনোদন কক্ষসহ অভিজাত সুযোগ-সুবিধা। ফ্ল্যাটজুড়ে রয়েছে ১৯টি ফ্রিজ, ১০০ টনের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, এবং মূল্যবান ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি।
নিলামের জন্য প্রস্তুতকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে-১২২টি শার্ট, ২৬৬টি প্যান্ট, ৩০টি ব্লেজার, ৭২২টি টি-শার্ট, ৪৯৪টি শাড়ি, ২৫০টি থ্রিপিস, ৬২২টি লেডিস টপস, ৮৮ জোড়া স্যান্ডেল, ৩৮ জোড়া জুতা, ১০৯টি বেডশিট, ৩৪৭টি ওড়না, ৫৬টি জ্যাকেট, ১৯টি ফ্রিজ, ৩৪টি সানগ্লাস, এবং ১৩২টি শীতের জামা।
তবে খাট, সোফা, ডাইনিং টেবিল, ড্রেসিং টেবিল ও অন্যান্য মূল্যবান আসবাবপত্র আপাতত নিলামের বাইরে রাখা হয়েছে। এসব বিষয়ে পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
আদালত গঠিত নিলাম কমিটিতে দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালককে সভাপতি করা হয়েছে। কমিটিতে আরও আছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বস্ত্র অধিদপ্তর এবং ইস্পাত প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, বেনজীর আহমেদ ২০২৪ সালের মে মাসে গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ও তার পরিবার বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, নগদ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে দেশত্যাগ করেন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, পাসপোর্ট জালিয়াতি ও ৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে দুদক।
সাবেক এই পুলিশ প্রধান ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি পলাতক।
বিআলো/এফএইচএস