সামরিক জোট গঠনের লক্ষে জর্ডানে গেলেন কাতারের আমির
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: সামরিক জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি জর্ডান সফর করছেন। তিনি সেখানে দেশটির বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সূত্র: আল জাজিরা
গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার পর এটি কাতারের আমিরের প্রথম বিদেশ সফর।
এই সফরে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, বুধবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবতরণ করেন কাতারি আমির। সেখানে বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, যুবরাজ হুসেইন আবদুল্লাহ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। দোহায় ইসরাইলি হামলার পর এটা কাতারের আমিরের প্রথম জর্ডান সফর।
কাতারের আমির এবং জর্ডানের বাদশাহর বৈঠকে সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করা এবং সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়েও আলোচনা করার কথা রয়েছে।
হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যার লক্ষ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহার একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় হামাস নেতারা যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হামলায় হামাসের নেতারা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও অন্তত ছয়জন নিহত হন।
কাতারের আমির ইসরাইলি হামলাকে ‘নির্লজ্জ, বিশ্বাসঘাতক ও কাপুরুষোচিত’ বলে অভিহিত করেন।
এ ঘটনায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে নিন্দার ঝড় ওঠে। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর একটি জরুরি সম্মেলন ডাকে কাতার যা গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হয়। আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) যৌথ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি সদস্যদেশ অংশ নেয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কাতারের প্রতি সংহতি এবং গত সপ্তাহে দোহায় ইসরায়েলি বোমা হামলার নিন্দা জানায়। আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা বলেন, ইসরাইলের নজিরবিহীন আগ্রাসনের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা দেয়ার জন্য এ বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) ‘একটি যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার’ প্রতিশ্রুতি দেয়, যাকে ওই বৈঠকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, দোহায় হামলার জন্য আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয়েছে। এর জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে।
পাশাপাশি গাজা সিটিতে ইসরাইলের হামলা জোরদারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটা ‘ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার যুদ্ধের সম্প্রসারণ’।
বিআলো/শিলি