সিডনিতে কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ, যা বললেন মাহফুজ আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুজ আলমের ফাইল তদবির ও লবিংয়ের কমিশনের অর্থ অস্ট্রেলিয়ায় তার ভাই মাহবুব আলম মাহির রিসিভ করেন— এমন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট বনি আমিন।
তবে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন মাহফুজ।
এদিকে এ অভিযোগ মিথ্যা আর এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টার বড় ভাই মাহবুব আলম মাহির। এ সংক্রান্ত ‘মিথ্যা অভিযোগের জবাব’ শিরোনামে ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট দিয়ে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম লিখেছেন, “তদবিরের কথা যখন উঠেছে, একটা ঘটনা বলি। আমাদের এক বন্ধু এক ব্যক্তিকে আমার ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করায়। সে বিটিভির একটি টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দিতে পারলে পার্সেন্টেজ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং ‘জুলাই’ প্রোগ্রাম নিয়ে বিদেশে সহায়তা চায়। আমি জানার সঙ্গে সঙ্গেই নিষেধ করি। সদুদ্দেশ্য থাকলেও রাষ্ট্রের আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। পরে সেই টেন্ডারের কাজও স্থগিত হয়।”
তিনি আরও জানান, সেই ব্যক্তি কথোপকথনের রেকর্ডিং এক সাংবাদিককে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকটি তার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে রেকর্ডটি প্রকাশ করেননি।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, আজকাল অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে, তাই আমার বিরুদ্ধেও লেগেছে। কয়েকটি দলের কিছু মহারথী এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। আমার সবচেয়ে নিকৃষ্ট শত্রুরাও গত এক বছরে দুর্নীতি বা আর্থিক অসংগতির কোনো অভিযোগ করতে পারেনি।
স্ট্যাটাসে আরও বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব পবিত্র আমানত। হাজার কোটি টাকার চাইতেও আমাদের কাছে ইজ্জত আর রাষ্ট্রের আমানত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি দাবি করেন, ‘জুলাই’ এখন অনেকের কাছে রাজনৈতিক সুযোগের সিঁড়ি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকটি দলের প্রভাবশালী নেতারা তার বিরুদ্ধে কাজ করছেন।
তবে এখন গুজববাজ ও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার, মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে, বনি আমিনের দাবি অনুযায়ী, মাহফুজ আলমের ভাইয়ের অস্ট্রেলিয়ান অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকার একটি লেনদেন নিয়ে (অস্ট্রেলিয়ান ট্রানজেকশন রিপোর্টস অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেন্টার) তদন্ত শুরু করেছে।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, এই অর্থ কিছু প্রজেক্টে ‘লবিং’ ও ‘ফাইলিং’-এর বিনিময়ে পাওয়া কমিশন। একই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে প্রভাব খাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অর্থ পাচার করেছেন মাহফুজ আলম।
এ বিষয়ে মাহফুজ আলমের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন, সময়মতো ‘প্রমাণসহ’ সবকিছু প্রকাশ করবেন।
বিআলো/শিলি