সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়া ছয়টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা
মনিরুল ইসলাম মনির: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়া তিনটি ভবনসহ মোট ছয়টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজউক।
বৃহস্পতিবার ভবনগুলো পরিদর্শন করেন ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইআইবি) ও রাজউকের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীসহ একটি প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শনের পরে ভূমিকম্পে হেলে পড়া তিনটি ভবনসহ ছয়টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিটি ভবনে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। একই সঙ্গে ভবনগুলোতে বসবাসরতদের সরিয়ে দ্রুত খালি করতে বাড়ির মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এ টি এম তানভীরুল হাসান তমাল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি ভবন আমরা ঘুরে দেখেছি। প্রতিটি ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত ধরণ একই রকম। সয়েল সেটেলমেন্টের কারণে টল্টিং হয়েছে, তবে ভেতরের স্ট্রাকচারে কোনো ক্র্যাক পাওয়া যায়নি। ফাউন্ডেশন অপ্রতুলতার কারণে এই সমস্যা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে, ভবনগুলো নির্মাণের সময় ফাউন্ডেশন, বেজমেন্ট ও পাইলিং দুর্বল থাকার কারণে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে। আরও গভীর পাইলিং করা উচিত ছিল, কিন্তু করা হয়নি। পাইলিংয়ের নিচের দুর্বল স্থানগুলো হেলে কাত হয়ে গেছে।
প্রকৌশলী তানভীরুল হাসান বলেন, আমরা পরিমাপ করে রিপোর্ট আকারে রাজউককে জানাব। রাজউক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নিতে পারে, সে বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করব।
রাজউক নারায়ণগঞ্জ জোন-৮ এর অথোরাইজড অফিসার প্রকৌশলী রংগন মন্ডল বলেন, এই ছয়টি ভবন নিরাপদ নয়। আমরা এই ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। পরবর্তী সময়ে বুয়েটসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ বলে বিবেচিত না হবে, এই ভবনগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, অনেক ভবন মালিক ও বসবাসকারী ইতিমধ্যেই ভবন খালি করছেন এবং আমাদের নির্দেশনা মেনে চলছেন। বিষয়গুলো জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। ভবন খালি হলে পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ভবনগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিআলো/ইমরান



