সৌদিতে বাংলাদেশি স্বাস্থ্যকর্মী পাঠাতে নতুন সরকারি জিটুজি প্রস্তাব
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশি চিকিৎসক, নার্স, কেয়ারগিভার ও স্বাস্থ্য-প্রযুক্তিবিদদের সৌদি আরবে পাঠাতে একটি প্রাতিষ্ঠানিক জিটুজি (সরকারি পর্যায়ে) নিয়োগ ফ্রেমওয়ার্ক চালুর প্রস্তাব দিয়েছে রিয়াদ। সম্প্রতি রিয়াদে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-সৌদি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রিয়াদ সফররত প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া এবং সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্র্যাক্টিং ও ফরেন অফিস বিষয়ক মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ বিন হাসান আল-দুগাইসারের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় বলে সরকারি নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
বৈঠকে ২০২৪-২৫ সালে সৌদিতে ১ হাজার ২০০ জন বাংলাদেশি গ্র্যাজুয়েট নার্স নিয়োগের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করে সৌদি পক্ষ। নার্সদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্ব সম্পর্কে সৌদি মতামত জানতে চায় বাংলাদেশ, পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, ভাষা-দক্ষতা ও প্রস্তুতি জোরদারে দিকনির্দেশনা চায়।
যোগ্য নার্সদের বেসরকারি খাতে নিয়োগ সহজ করতে বাংলাদেশ প্রোমেট্রিক পরীক্ষার ছাড় চায় এবং সরকারি হাসপাতালের মতো নিয়োগ-মডেল বেসরকারি খাতেও চালুর প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে সৌদি কমিশন ফর হেলথ স্পেশালটিজের (SCFHS) সঙ্গে মূল্যায়ন ও লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করতে সমঝোতা স্মারক, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ ও পাঠ্যক্রম সমন্বয়ের প্রস্তাবও উপস্থাপন করা হয়।
সৌদি পক্ষ জানায়, পূর্বে উভয় দেশে চূড়ান্ত হওয়া খসড়া চুক্তিটি এখন স্বাস্থ্য খাতে চলমান কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন করা যেতে পারে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, সৌদিতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার নার্সের চাহিদা বেশি; বর্তমানে বাংলাদেশি নার্সরা সাধারণ ওয়ার্ডে টেকনিক্যাল নার্স হিসেবে কাজ করছেন। এখন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের দায়িত্ব সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে হেলথ হোল্ডিং কোম্পানি (HHC) পালন করছে।
সৌদিতে নার্স নিয়োগের বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে প্রোমেট্রিক পরীক্ষা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, সৌদি হেলথ কাউন্সিলের পেশাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি, লাইসেন্স এবং চিকিৎসাগত ত্রুটি-বিমা বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়। তথ্যসূত্র: বাসস
বিআলো/শিলি



