সৌদি আরবের ২০২৬ সালের হজ পরিচালনার জন্য ছয় দফা নতুন নির্দেশনা
বিআলো ডেস্ক: আগামী বছরের হজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ছয়টি নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত বিস্তারিত চিঠি সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিগুলোর কাছে প্রেরণ করেছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ মে।
সৌদি সরকারের ছয়টি নির্দেশনা হলো-
১. হজ চুক্তি ও তথ্যপ্রেরণ: বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীর সংখ্যা, জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দর ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য জরুরিভিত্তিতে সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
২. শিফটিং ও অননুমোদিত আবাসন নিষিদ্ধ: এক ভবন থেকে অন্য ভবনে হজযাত্রী স্থানান্তর, মাসার সিস্টেমের বাইরে আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে না। এর জন্য কোনো এজেন্সি প্রমাণিত হলে কালো তালিকাভুক্ত হবে এবং সৌদি প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
৩. কালো তালিকাভুক্ত এজেন্সি নিষিদ্ধ: ২০২৫ হজ মৌসুমে কালো তালিকাভুক্ত এজেন্সি ২০২৬ সালে হজ পরিচালনায় অংশ নিতে পারবে না।
৪. ফলপ্রসূ যোগাযোগ: হজ কার্যক্রমের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে। গ্রুপে হজযাত্রী সংখ্যা, আবাসন, লিড এজেন্সি তথ্য, অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আপলোড করতে হবে।
৫. স্বাস্থ্য সনদ ও জটিল রোগ: সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিহ্নিত ৯ ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজে যেতে পারবে না। প্রত্যেক হজযাত্রীকে হজ অ্যাফেয়ার্স সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। ত্রুটি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল অফিস ও ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
৬. নুসুক কার্ড বিতরণ: হজযাত্রীর মক্কা ও মদিনার হোটেল, কক্ষ ও বেড নম্বর আগে থেকেই হজ এজেন্সি দিতে হবে। এই তথ্য নুসুক কার্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পরিবহনকারী বাসে সরবরাহ করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সব সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকে নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
বিআলো/শিলি