স্ত্রী হত্যার অভিযোগে দায়মুক্তি চান ভারতীয় কমান্ডো
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ভারতের এলিট নিরাপত্তা বাহিনী এনএসজি-র ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডো হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীকে হত্যার মামলায় তাকে কোনো ছাড় দেয়নি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। যৌতুকের চাহিদা থেকে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কমান্ডো।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ওই সেনার জামিনের আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, ‘অপারেশন সিন্দুরে অংশগ্রহণ আপনাকে আইনি দায় থেকে মুক্তি দিতে পারে না।’
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশনের শুনানিতে অভিযুক্ত কমান্ডোর আইনজীবী জানান, তার মক্কেল জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এনএসজির সদস্য এবং ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ অংশ নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, মে মাসের ওই অপারেশন ছিল পহেলগাম সন্ত্রাস হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা প্রতিক্রিয়া। আদালতের কাছে তাই অনুরোধ ছিল, তাকে পুলিশি আত্মসমর্পণ থেকে রেহাই দেয়া হোক।
কিন্তু বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া এদিন সাফ জানিয়ে দেন, ‘এটা আপনার দায়মুক্তির কোনো কারণ হতে পারে না। …অভিযোগ অনুযায়ী, যে নৃশংসভাবে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই ছাড়যোগ্য নয়।’
অভিযুক্ত কমান্ডোর বিরুদ্ধে ৩০৪বি ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে, যা পণ-সংক্রান্ত মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কমান্ডোর আইনজীবী দাবি করেন, আসল অভিযোগ একটিই— পণ হিসেবে একটি মোটরসাইকেল চাওয়া। এবং সেই অভিযোগ এসেছে নিহতের আত্মীয় দুই সাক্ষীর কাছ থেকে, যাদের বক্তব্যে বহু অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর।
তবে বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রনসহ দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হাইকোর্ট আগেই এই আবেদনে স্বস্তি দেয়নি এবং এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টও আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে নারাজ।
আদালত এদিন জানায়, ‘আমরা আত্মসমর্পণ থেকে ছাড়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করছি। তবে বিশেষ অনুমতি পিটিশনের প্রেক্ষিতে প্রসিকিউশনের কাছে ছয় সপ্তাহের মধ্যে জবাবদিহি চাওয়া হলো।’
অভিযুক্ত কমান্ডোর আইনজীবী সময় চাওয়ায় আদালত আত্মসমর্পণের জন্য দুসপ্তাহ সময় দেন। সূত্র: দ্য ওয়াল, এনডিটিভি
বিআলো/শিলি