স্বর্ণের দোকানে অভিনব কায়দায় চুরি: মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী সদর রোডের একটি স্বর্ণের দোকানে অভিনব কৌশলে সংঘটিত চুরির ঘটনায় মূল হোতাসহ তিনজনকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিনাজপুর কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১১ নভেম্বর সকালে পটুয়াখালী নতুন বাজার এলাকার “শ্রী গুরু গোল্ড হাউস” জুয়েলারি দোকানে দুই নারী ও এক পুরুষের একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রবেশ করে। প্রতারণা ও চেতনানাশক দ্রব্য প্রয়োগের মাধ্যমে দোকানদারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তারা প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায়। পরে দোকান মালিক লিটন মালাকার বাদী হয়ে ২১ নভেম্বর সদর থানায় মামলা (নং–৩২/২০২৫; ধারা ৩২৮/৩৮০/৩৪) দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল ও আশপাশের শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। গ্রেফতার তিনজন হলেন—মোসাঃ রাবেয়া বেগম (৫৪), মোসাঃ মনোয়ারা বেগম (৪৪) ও মোঃ সেলিম জাবেদ (৩৮); সবার ঠিকানা দিনাজপুর কোতয়ালী থানা এলাকা।
অভিযানে চুরির সময় ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন, ব্যবহৃত বোরকা–ওড়না এবং পলায়নে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
দোকান মালিকের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই নারী প্রথমে স্বর্ণ ক্রয়–বিক্রয়ের কথা বলে দোকানে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে পানি চাইলে দোকানদার পানি আনতে গেলে তারা কৌশলে চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করে দোকানদার ও কর্মচারীকে অচেতন করে ফেলে। এরপর স্বর্ণালংকারের স্টক বক্সটি নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। সিসিটিভি ফুটেজে রাবেয়া বেগমকে বক্সটি ওড়নার ভেতরে লুকিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় একই ধরনের একাধিক চুরির মামলারও আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতারকৃত সেলিম জাবেদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, “ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
বিআলো/ইমরান



