স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, পরদিন মিলল একজনের মরদেহ
বিআলো প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জে একটি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে মো. ফেরদাউস শেখ (৪৪) নামে এক যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে শহরতলীর চর পাথালিয়া এলাকার পিঠা গার্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফেরদাউস শেখ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পার ঝনঝনিয়া গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে ও তিনি গরুর খামারি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ডুমুরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী ছিলেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পার ঝনঝনিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যায় বোরকা পরিহিত একজন নারীকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তিনি পিঠা গার্ডেন নামে ওই রেস্টুরেন্টে ওঠেন।
বুধবার দুপুরে কক্ষ ছেড়ে দেয়ার কথা ছিল। দুপুরে কেউ বের না হওয়ায় হোটেল বয় দরজা অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাননি। তাদের সন্দেহ হলে ডুবলিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে ফেরদাউসকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সঙ্গে থাকা ওই নারীকে কক্ষে পাওয়া যায়নি।
পরে পুলিশে খবর দেন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। বিকেলে ফেরদাউসের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলের ম্যানেজার তুহিন মোল্যাকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা যায়, স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে থাকা ওই নারী সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বড় ভাই ফেরদাউস ডুমুরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ভাই ফেরদাউস ভয়েস ম্যাসেজের মাধ্যমে জানায় সে টুঙ্গিপাড়ায় তার এক বন্ধু গাজী মাসুদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান থাকায় রাতে আর তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি।’
তিনি জানান, পরদিন বুধবার সকাল থেকে সারাদিন তার মোবাইলে অসংখ্যবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এরপর বিষয়টি জানতে পারি।
তবে আমাদের দাবি, ভাইকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
বিআলো/শিলি