• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    স্মার্ট ও জটিল প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব 

     dailybangla 
    20th May 2025 4:43 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, মোবাইল ফোনের বিস্তার ও সোশ্যাল মিডিয়ার আগমন মানব ইতিহাসে যোগাযোগ ও জীবনধারণে এক নতুন বিপ্লব এনেছে। ইমেইল, চ্যাট, ভিডিও কল, অনলাইন শপিং ও ডিজিটাল পেমেন্ট-সবখানেই ইন্টারনেট এখন অপরিহার্য।

    আইফোন আসার পর স্মার্টফোন প্রযুক্তি আরও গতিশীল হয়, যার ধারাবাহিকতায় ফেসবুক, এক্স (টুইটার), ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম বদলে দেয় আমাদের দৈনন্দিন জীবন। ইন্টারনেট শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি এখন সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সহজ ও কম খরচের এ যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুন পেশা, চিন্তাভাবনা ও ব্যবসার সুযোগ তৈরি করেছে।

    ২০২৫ সালের পর আমরা এক স্মার্ট ও জটিল প্রযুক্তিনির্ভর যুগে প্রবেশ করছি, যেখানে সচেতন নাগরিকদের জন্য কিছু প্রযুক্তি জানা ও ব্যবহার করা হবে অপরিহার্য। নিচে ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলো তুলে ধরা হলো।

    এআই এখন কেবল কাজের বিকল্প নয় মানুষের চিন্তা, সৃজনশীলতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকে শক্তিশালী করেছে। চ্যাটজিপিটি, জেমিনি এর মতো এআই টুল আমাদের লেখালেখি, ডিজাইন, গবেষণা এমনকি সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এআই আমাদের জীবনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে যাবে।

    এই প্রযুক্তি বর্তমানে প্রায় অসম্ভব গাণিতিক সমস্যার দ্রুত সমাধান করবে, নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাবে। এটি হবে ভবিষ্যতের সুপারকম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীজুড়ে একক ও বিশ্বাসযোগ্য লেনদেন, সম্পত্তি হস্তান্তর, অনলাইন ভোটিং এবং ডিজিটাল পরিচয় শনাক্ত করতে ব্লকচেইনের বিকল্প নেই। ওয়েব দিচ্ছে বিকেন্দ্রীকৃত, ব্যক্তিগত ডেটা নিয়ন্ত্রিত একটি ইন্টারনেটের স্বপ্ন এবং যা সত্য হতে যাচ্ছে।

    অগমেন্টেড রিয়েলিটি বাস্তবতার ওপর ডিজিটাল তথ্য যুক্ত করে এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীকে একটি সম্পূর্ণ কৃত্রিম ৩ডি জগতে প্রবেশ করায়। এ প্রযুক্তি শিক্ষায় ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্লাসরুম, গেমিং-এ লাইভ অভিজ্ঞতা, চিকিৎসায় রিমোট সার্জারি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা দ্রুত মেটাভার্স জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছি আইওটি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে রিয়েল বস্তু ও ডিভাইসগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেন্সর ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে এ ডিভাইসগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা আদান- প্রদান করে। ফলে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়। স্মার্ট হোম, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট কৃষি ও স্বাস্থ্যসেবা-সবখানেই বাড়ছে আইওটির ব্যবহার।

    টেকসই প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব, প্রাকৃতিক সম্পদ সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক। এর লক্ষ্য হলো বর্তমান প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ রক্ষা। সোলার ও অ্যাটমিক এনার্জির ব্যবহার ক্রমেই মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে।

    ডিজিটাল জগতে নিরাপদ থাকা এখন ব্যক্তিগত ও জাতীয় নিরাপত্তার অংশ। তাই প্রত্যেকের ন্যূনতম সাইবার সচেতনতা থাকতে হবে ফিশিং, হ্যাকিং ও ডেটা চুরির বিরুদ্ধে।

    ১৯৯০-এর দশকে কেউ কল্পনাও করেনি ঘরে বসে ভিডিও কলে কথা বলা বা মোবাইল অ্যাপে টাকা পাঠানো সম্ভব হবে। যেসব প্রযুক্তিকে আমরা এখন ভবিষ্যৎ ভাবছি, আগামী দশকে সেগুলোই হবে আমাদের নিত্যসঙ্গী।

    তাই ২০২৫-এর পরের যুগে টিকে থাকতে হলে শুধু ব্যবহার নয়-প্রযুক্তিকে বুঝতে, শিখতে ও এগিয়ে থাকতে হবে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930