হত্যা ও নির্যাতনের কঠোর পরিণতি ইসলামে
বিআলো ডেস্ক: ইসলামিক শিক্ষায় কাউকে হত্যা করা ও নির্যাতন করা (জুলুম) সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। কোরআন ও হাদিসে এ ধরনের কাজের জন্য কঠোর শাস্তি এবং ভয়াবহ পরিণতির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
জুলুমের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ
আরবি শব্দ “জুলুম” সাধারণত নির্যাতন, নিপীড়ন বা অন্যায়ভাবে কারো উপর অত্যাচার চালানো বোঝায়। শরীয়তের দৃষ্টিতে জুলুমের অর্থ হলো কোন জিনিসকে তার উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যারা জুলুম করে তাদেরকে ‘জালিম’ বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মারধর, হত্যা এবং অন্যায়ভাবে কাউকে ক্ষতি করা।
কোরআন ও হাদিসে মুমিনের মর্যাদা
কোরআন আল্লাহর দৃষ্টিতে মুমিনের রক্ত, জান-মাল এবং ইজ্জত-আবরুর মর্যাদাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। সুরা মায়িদা (৩২) অনুযায়ী, একজন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা সমান পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যা করার মতো গুরুতর অপরাধ। আর কাউকে বাঁচানো সমান সকল মানুষকে বাঁচানোর সমান মহৎ কাজ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুমিনের মর্যাদা কাবার চেয়েও বড়। পৃথিবী ধ্বংস হলেও একজন মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গুরুতর।
জালিমের ভবিষ্যৎ ও সতর্কবার্তা
হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, যিনি অন্যায়ভাবে মুসলিমকে হত্যা করেন, তার জন্য আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। মুমিনকে গালি দেওয়া বা মারামারিতে লিপ্ত হওয়াও কুফুরির কাজ হিসেবে গণ্য। কিয়ামতের দিনে জুলুমের শাস্তি কঠিন অন্ধকারের মতো প্রকাশ পাবে।
ইসলাম মুসলিম সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য মুমিনের জীবন, মর্যাদা ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। যে কেউ অন্যায়ভাবে জুলুম করবে, তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
বিআলো/শিলি



