হাতিয়া–চেয়ারম্যান ঘাটে ফেরি সার্ভিস চালুর পথে বড় অগ্রগতি
নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নলচিড়া ঘাট পরিদর্শন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজ (২৮ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার নলচিড়া ঘাট পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)-এর চেয়ারম্যান মোঃ সলিম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) এ.কে.এ.এম ফজলুল হক, নৌপরিবহন উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) মোঃ জাহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী (পুরঃ) মোঃ মহিদুল ইসলাম, পরিচালক (নৌনিট্রা) মোঃ সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (নৌসওপ) ক্যাপ্টেন মোঃ শাহজাহান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মোঃ সাজিদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুরঃ) আ.স.ম. মাশরেকুল আরেফিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (পুরঃ) এ.এস.এম আশরাফুজ্জামান, বন্দর কর্মকর্তা নয়ন শীলসহ বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিআইডব্লিউটিএ’র চট্টগ্রাম ডিভিশনের আওতাধীন নোয়াখালী জেলা সদর তথা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে হাতিয়া দ্বীপাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো নৌপথ। প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ হাজার যাত্রী বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রায় ২০ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকেন। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিসির একটি সি-ট্রাক প্রতিদিন দুইবার উভয় প্রান্ত থেকে চলাচল করছে। বর্ষা মৌসুমেও চেয়ারম্যান ঘাট থেকে উত্তাল মেঘনা নদীর চ্যানেল পাড়ি দিয়ে নৌযানগুলো চলাচল অব্যাহত থাকে।
হাতিয়া থেকে ঢাকায় লঞ্চে যেতে সময় লাগে প্রায় ১২-১৫ ঘণ্টা। তবে নলচিড়া ঘাট থেকে চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু হলে দ্বীপবাসী সরাসরি গাড়িযোগে অল্প সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। এতে বর্ষাকালীন সময়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি আরও সহজ, নিরাপদ ও ব্যয়-সাশ্রয়ী হবে।
এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চেয়ারম্যান ঘাট–হাতিয়া (নলচিড়া) ফেরি সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সম্ভাব্য ঘাটের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে উভয় ঘাটকে ফেরি ঘাট হিসেবে উপযুক্ত ঘোষণা দেয়।
জোয়ার-ভাটার তারতম্য (প্রায় ২.৫–৩.০ মিটার) বিবেচনায় উভয় প্রান্তে দুটি করে—লো ওয়াটার ও মিড ওয়াটার—ফেরি ঘাট নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া, ২০২৫ সালের ২ জুনের সরকারি গেজেট অনুযায়ী হাতিয়া উপকূলীয় নদী বন্দরকে দেশের ৫৪তম এবং দ্বিতীয় উপকূলীয় নদী বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়—যা এ অঞ্চলের সামুদ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা মহোদয় ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার চর কলাতলী লঞ্চঘাট উদ্বোধন করেন এবং ঢালচর ঘাট পরিদর্শন করেন।
বিআলো/তুরাগ



