হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বাউফলে বিএনপির বিক্ষোভ, দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি
মো. তরিকুল ইসলাম (মোস্তফা), বাউফল (পটুয়াখালী): ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল আলম তালুকদারের বাসভবনসংলগ্ন বিএনপি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শহীদুল আলম তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম তালুকদার, সদস্য প্রভাষক জসীম উদ্দিন ও প্রভাষক মাকসুদুর রহমান, বাউফল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, সাবেক যুবদল সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাউফল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহীদুল আলম তালুকদার বলেন, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তিনি অবিলম্বে বিচার কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
বিক্ষোভ চলাকালে নেতাকর্মীরা ‘হাদি হামলার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই হাদির ওপর হামলা কেন’, ‘প্রশাসন জবাব চাই’—সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এদিকে, হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে, কেশবপুর কলেজসংলগ্ন এলাকায়। তার চাচি মিনারা বেগম জানান, প্রায় ৩৫ বছর আগে মাসুদের পরিবার ঢাকায় চলে যায়। এরপর থেকে পরিবারের কেউ আর এলাকায় ফেরেনি। তারা কখনো ফয়সাল করিম মাসুদকে দেখেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
বিআলো/ইমরান



