হার্ট অ্যাটাক এড়াতে চান? সতর্ক থাকুন এই চার অভ্যাস থেকে
বিআলো ডেস্ক: দেখতে একেবারে সুস্থ মানুষ, কোনো শারীরিক অসুখ নেই- তবু হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা, আর তার পরেই হার্ট অ্যাটাক! এমন ঘটনা এখন প্রায় নিয়মিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্টের সমস্যা সবসময় আগাম সংকেত দেয় না। অনেক সময়েই নীরবে রক্তনালিতে চর্বি বা রক্ত জমে বিপদের কারণ হয়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ (NIH) এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA) জানিয়েছে, প্রায় ৯৯ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ চারটি অভ্যাস বা শারীরিক সমস্যা। এই চারটি বিষয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
১. উচ্চ রক্তচাপ-
নীরব ঘাতক নামে পরিচিত উচ্চ রক্তচাপ এখন বিশ্বব্যাপী বড় স্বাস্থ্যসমস্যা। রক্তচাপ ১৩০/৮০-এর উপরে উঠলেই হৃদ্যন্ত্রের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এতে ধমনীর ক্ষতি হয় এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২. খারাপ কোলেস্টেরল-
রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল (LDL) বেড়ে গেলে ধমনীর ভেতরে চর্বি জমে, যা রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে। ফলস্বরূপ হার্টে রক্ত কম পৌঁছায় ও অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত জল ও নিয়মিত ব্যায়াম জরুরি।
৩. রক্তে অতিরিক্ত শর্করা-
ডায়াবেটিস বা রক্তে অতিরিক্ত শর্করার কারণে ধমনীর দেওয়ালে চর্বি, কোলেস্টেরল ও ক্যালসিয়াম জমে ‘প্লাক’ তৈরি হয়। এতে রক্তপ্রবাহ বাধা পায় এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা দেখা দেয়।
৪. ধূমপান-
ধূমপান শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের জন্যই ক্ষতিকর, বিশেষত হৃদ্যন্ত্রের জন্য। এটি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়িয়ে দেয় এবং ‘ভাল’ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। ফলে ধমনীর দেওয়াল শক্ত ও মোটা হয়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন-
* হার্ট সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।
* ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
* রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তশর্করা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
* এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম বা স্ট্রেস টেস্ট করান।
সময়ের আগে সচেতন হলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ।
বিআলো/শিলি



