‘হিট অফিসারের’ হুক্কা লাউঞ্জে অভিযান: মাদকদ্রব্য জব্দ, মামলা রুজু
মো. জুবায়ের আলম: রাজধানীর গুলশানে কথিত “হিট অফিসার” বুশরার পরিচালিত হুক্কা লাউঞ্জে পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ সীসা মাদক ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুলশান-১ এর ১১২ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসায় অবস্থিত “দ্য কোর্টইয়ার্ড বাজার লাউঞ্জে” অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই (নিঃ) মো. রেজাউল করিম। সঙ্গে ছিলেন এসআই (নিঃ) সবুজ কর, কনস্টেবল মো. সুজা উদ্দীন ও নাছির উদ্দীন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তিনজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন— মো. আব্দুর রাব্বি (২৭), মো. শাকিল আহম্মদ (৩৫) ও রনি মিয়া মামুন (২৭)। তাদের কাছ থেকে ও লাউঞ্জের ভেতর থেকে ৪.৪ কেজি সীসা মাদক, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হুক্কা (১০টি), পাইপ (৮টি), নারিকেলের কয়লা (১২ কেজি) এবং নগদ অর্থ ১৮,৯৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত সরঞ্জামের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন লাউঞ্জ পরিচালক আফরোজা বিনতে এনায়েত, কথিত হিট অফিসারের জামাতা জাওয়াদ ও ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনসহ মোট ১৭ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) টেবিলের ৩৪(গ)/৪১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ের জামাতা জাওয়াদ ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন রশিদের সহায়তায় উক্ত বাড়ি দখল করে অবৈধভাবে বার চালু করা হয়। বাড়ির মালিক একাধিকবার নোটিশ দিলেও ব্যবসা বন্ধ হয়নি। বরং স্থানীয়রা অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের হুমকি দেওয়া হতো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় এ ধরনের মাদক ব্যবসা অনৈতিক ও উশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করছে। তারা দ্রুত লাউঞ্জটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিআলো/তুরাগ