হেরিটেজ সুইটসের উদ্বোধন: মুঘল ঐতিহ্যের মিষ্টি নিয়ে যাত্রা শুরু
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: ঐতিহ্য ও স্বাদের অপূর্ব সংমিশ্রণে, আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭ মে যাত্রা শুরু হলো হেরিটেজ সুইটস-এর। মুঘল সাম্রাজ্যের গৌরবময় ইতিহাস ও রন্ধনশৈলীর আলোকে, এই নতুন উদ্যোগে তুলে ধরা হয়েছে সেই সময়ের অনন্য মিষ্টির স্বাদ ও পরিবেশনা। মুঘল সম্রাটদের রাজসভা ও উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বাহারি ও সুস্বাদু মিষ্টান্ন।
সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে, হেরিটেজ সুইটস-এ পরিবেশিত হবে আদি রসগোল্লা, কমলাভোগ, দিল্লী চমচম, ভোগসাগর, গুলাব-জমুন, ছানার জিলেবি সহ আরো নানান ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। প্রতিটি মিষ্টি তৈরি হবে প্রাচীন মুঘল রেসিপি অনুসারে, যেখানে আধুনিক স্বাস্থ্যবিধি, দক্ষ কারিগর ও উৎকৃষ্ট মানের উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে স্বাদ ও গুণগতমান। গ্রাহকদের স্বাস্থ্য ও স্বাদ দুটোই মাথায় রেখে, প্রতিটি পদে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বোচ্চ মানের উপকরণ ও পরীক্ষিত প্রাচীন পদ্ধতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আইসিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার এম এম জসীম উদ্দীন বলেন, আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস শুধু একটি মিষ্টির আউটলেট নয়, বরং এটি একটি অভিজ্ঞতা- যেখানে আপনি ফিরে পাবেন মুঘল আমলের রাজকীয় আতিথেয়তা ও স্বাদের ঐতিহ্য। বাংলার মুঘল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন হচ্ছে আমাদের মিষ্টান্ন। সেই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে আমরা আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস-এর যাত্রা শুরু করেছি। মুঘল যুগের অনবদ্য স্বাদ, পরিবেশনা ও সৌন্দর্যকে আধুনিক স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিবেশন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, খাদ্য শুধু স্বাদ বা পুষ্টির উৎস নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিরও বাহক। তাই, আমাদের প্রতিটি মিষ্টি তৈরি হয়েছে প্রথাগত রেসিপি ও উৎকৃষ্ট উপকরণে, যাতে পুরনো দিনের স্বাদ ও গুণ বজায় থাকে। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমাদের টিমের সকল সদস্য, অংশীদার, এবং শুভানুধ্যায়ীদের, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতায় আজকের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, হেরিটেজ সুইটস শুধু একটি মিষ্টির আউটলেটই হবে না, বরং এটি হবে ঐতিহ্য, স্বাদ ও আনন্দের এক মিলনমেলা।
আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস এর আউটলেটে র পরিবেশে ফুটে উঠেছে মুঘল আমলের স্থাপত্য ও সৌন্দর্য, যা গ্রাহকের মুহূর্তকে করে তুলবে আরো স্মরণীয়। মুঘল ঐতিহ্য ও স্বাদের মাঝে হারিয়ে যেতে চলে আসুন হেরিটেজ সুইটস-এ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিআলো/তুরাগ