১০ম দ্বি-বার্ষিক মৎস্য সম্মেলনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘পরবর্তী প্রজন্মের মৎস্য ও জলজ চাষ: নিরাপদ খাদ্য, সমতা ও পরিবেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ফোরাম (বিএফআরএফ)-এর উদ্যোগে শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ১০ম দ্বি-বার্ষিক মৎস্য সম্মেলন ও গবেষণা মেলা ২০২৫।
রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক) অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের সমাপনীতে গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য বিজ্ঞানীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বার্ক-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুস সালাম।
সমাপনী দিনে বিএফআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন সেশনের গবেষণার সারাংশ উপস্থাপন করেন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে মাছের পুষ্টিমান উন্নয়ন, রোগ ব্যবস্থাপনা, এবং উপকূলীয় নীল অর্থনীতি নিয়ে একাধিক সমান্তরাল কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য গবেষণার মধ্যে ছিল:
মাছের পুষ্টিগুণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক কালচার সিস্টেমের প্রভাব।
চিংড়ি রপ্তানিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ব্লকচেইন ভিত্তিক ট্রাসিবিলিটি মডেল।
জলাশয় ও নদীতে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ভারী ধাতুর উপস্থিতির প্রভাব ও প্রতিকার।
মাছের বিকল্প খাদ্য হিসেবে মাইক্রোঅ্যালগি বা ক্ষুদ্র শৈবালের ব্যবহার।
ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, “বিএফআরএফ গত দুই দশক ধরে দেশের মৎস্য খাতের গবেষক, বিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে শক্তিশালী সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মৎস্য খাত নিশ্চিত করা।”
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিএফআরএফ-এর সভাপতি ড. জোয়ার্দার ফারুক আহমেদ, প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফারুক-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। গেস্ট অফ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফএও বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. দিয়া সানু।
বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন, বিএফআরএফ-এর এই আয়োজন দেশের মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীলতা এবং নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
বিআলো/তুরাগ



