• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    ৫ আগস্টের পর বদলে যায় সমন্বয়ক রিয়াদের জীবন 

     dailybangla 
    28th Jul 2025 3:01 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ। ছিলেন পতিত আওয়ামী লীগের ক্যাডার। কিন্তু ৫ আগস্টের পর পালটে যায় তার জীবনযাপন। পোশাক-আশাকেও আসে আমূল পরিবর্তন। গায়ে উঠে দামি ব্র্যান্ডের শার্ট-প্যান্ট। গ্রামের বাড়িতে তৈরি করেন দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি। কোনো বছরই কুরবানি না দেওয়া পরিবারটি গত ঈদে লাখ টাকা খরচ করে দিয়েছেন কুরবানিও।

    ঘটনাটি গুলশানে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া আবদুল রাজ্জাক সোলায়মান রিয়াদের।

    গ্রেফতারকৃত রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে। বাবা আবু রায়হান। হতদরিদ্র রিকশাচালক। থাকতেন একটি টিনের ঘরে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার পলাতক মেয়র কাদের মির্জার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের একজন ছিলেন রিয়াদ। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত কাদের মির্জার কাছে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। দিনমজুর ও কখনো রিকশাচালক বাবার ছেলে রিয়াদের উত্থান হয় ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের পদ পান রিয়াদ। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্রপ্রতিনিধির দায়িত্বে আছেন বলেও চাউর হয়। পরে অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

    এলাকাবাসী রিয়াদের উত্থান নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। তাদের ভাষ্যমতে, রিয়াদের আয়-উপার্জনের দৃশ্যমান কোনো উৎস ছিল না। অথচ খুব অল্প সময়েই বিত্ত-বৈভবে এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন একজন ছাত্রপ্রতিনিধি ও সমন্বয়ক হিসাবে।

    সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ আগস্টের পর রিয়াদ এলাকায় এসেছিলেন বলে শুনেছি। তিনি এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছেন। উচ্চপদস্থ বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে।

    তার চাচা জসিম উদ্দিন জানান, রিয়াদের বাবা রিকশা চালাতেন। বয়স বেশি হওয়ায় এখন আর তিনি রিকশা চালান না। তবে তার বড়ভাই আবু রায়হান এখনো রিকশা চালান, পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। তাদের ভিটে ছাড়া আর কোনো জায়গা জমি নেই।

    তিনি আরও জানান, আড়াই মাস আগে রিয়াদ বাড়ির পুরোনো টিনশেড বাড়ি ভেঙে পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে এলাকাবাসী অবাক হয়। তবে রিয়াদ কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি চাচা জসিম।

    প্রসঙ্গত, সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে রোববার রিয়াদ ও তার সহযোগী কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের বাসায় যায়। ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। পুলিশকে বিষয়টি জানালে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়াদসহ পাঁচ আসামিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে এবং ওই সময় কাজী গৌরব অপু দৌড়ে পালিয়ে যায়।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930