৭৬ এ পা দিলেন সিনেমার চিরসবুজ নায়ক আলমগীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অনেক পুরনো। বলা যায় বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস, বহু যুগের এই ইতিহাস। এই চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সময়ের পরিক্রমায় চলচ্চিত্র জগতে আগমন ঘটেছে বহু নায়কের। এদের সবাই না হলেও অনেকেই দর্শকদের মনে স্থায়ী জায়গা দখল করে নিয়েছেন, হয়েছেন খ্যাতিমান আর কালজয়ী। তবে ঢালিউডের সবচেয়ে সফল ও সেরা নায়কদের তালিকা করলে প্রথমেই যাদের নাম আসবে, তাদের মধ্যে অন্যতম চিরসবুজ নায়কখ্যাত আলমগীর। বাংলাদেশের কিংবদন্তী এই অভিনেতার জন্মদিন আজ। ৭৫ বসন্ত পেরিয়ে আজ ৭৬ এ পা দিলেন দেশবরেণ্য এই চলচ্চিত্র অভিনেতা।
আশি ও নব্বই দশকে আলমগীর ছিলেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। তার বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল দর্শকনন্দিত। ওই সময়ের সব নায়িকা, পরিচালক আলমগীরের সঙ্গেই বেশি কাজ করতে চাইতেন। ঢালিউডের সবচেয়ে বেশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করা নায়ক তিনি।
আজ ৩ এপ্রিল মহাতারকা আলমগীরের জন্মদিন। ১৯৫০ সালের এই দিনে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পুরো নাম মহিউদ্দিন আহমেদ আলমগীর। তার বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর অন্যতম প্রযোজক এবং প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার।
বাংলাদেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আলমগীর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। এরপর আশি ও নব্বইয়ের দশকে দাপটের সঙ্গে একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এ পর্যন্ত আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে শুধু শাবানার সঙ্গেই জুটিবদ্ধ হয়েছেন ১০৬ টি চলচ্চিত্রে।
আলমগীর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘জিঞ্জির’, ‘মা ও ছেলে’, ‘অপেক্ষা’, ‘মরণের পরে’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘অন্ধ বিশ্বাস’, ‘দেশপ্রেমিক’, ‘জীবন মরণের সাথী’, ‘কে আপন কে পর’ ইত্যাদি।
অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে আলমগীর এই পর্যন্ত দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে সাতবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রের অভিনেতা এবং একবার আজীবন সম্মাননা ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে আলমগীরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন কবি ও গীতিকার খোশনূর। এই দম্পতির সন্তান গায়িকা আঁখি আলমগীর। খোশনূরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আলমগীর বিয়ে করেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লাকে। বর্তমানে তার সাথেই করছেন সংসার। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা গণমাধ্যমে বিভিন্ন সাক্ষাতকারে এক সঙ্গে দেখে পুলকিত হোন ভক্ত-অনুরাগীরা। জন্মদিনে আলমগীরের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
বিআলো/তুরাগ