আজ চাঁদপুর মুক্ত দিবস
সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর: আজ ৮ ডিসেম্বর রোববার চাঁদপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলা দামাল সন্তারেরা চাঁদপুর শহরকে পাক হানাদার মুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে ছিল।
চাঁদপুরবাসী দীর্ঘ ৮ মাসের বিভীষিকার কথা আজও ভুলিনি। ভুলতে পারেনি নরঘাতক পিচাশ পাকিস্তানি মেজর তৈমুর আর তাদের দোসর গোয়েন্দা বিভাগের শওকতের অত্যাচারের কথা। তাদের বীভৎস নারকীয় অত্যাচারে বহু মাছ হারিয়েছে তাদের সন্তানকে।বিধবা হয়েছে বহু মা, ধর্ষিত হয়েছে বহু নারী। সেদিন কচি শিশুর রেহাই পাইনি তাদের হাত থেকে। হাত পা বেঁধে বহু জ্যান্ত মানুষকে নিক্ষেপ করে ফেলে দিয়েছিল চাঁদপুরের ত্রী নদীর মোহনা দিয়ে নদীতে। চোখ উঠিয়ে নিয়েছে বহু বীর সন্তানদের।হাত পা মাথা নিচে দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বহু মুক্তিকামী জনগনকে। তারা চাঁদপুর শহরে টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহার করতো চাঁদপুরের রেলওয়ের বড় বড় বাংলো গুলোকে। যার কালের সাথে হিসেবে এখনো বেশ কিছু পরিত্যক্তবাংলা চাঁদপুর শহরে রয়েছে। এসব বাংলা দেখলেই মুক্তিকামী মানুষ আজও চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরায়।
১৯৭১ সালে ৭ এপ্রিল থেকে চাঁদপুর শহরে শুরু হয় জল্লাদদের তাণ্ডব লীলা। সেদিন সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে পাকিস্তানি দুটি জাত বিমান থেকে বৃষ্টির মতো গুলির দর্শন শুরু করে। ৪০ মিনিটের গুলিবর্ষণে প্রায় পাঁচশতাধিক মানুষ হতাহত হয়। তারপর আর চাঁদপুর শহরের দামাল সন্তানেরা আর ঘরে বসে থাকেনি। মমিনুল্যা বীর প্রতিক বুকে মাইন বেঁধে ডাকাতিয়া নদীতে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ইচুলি থেকে ডাকাতিয়া নদীতে নেমে পরেন। লন্ডন ঘাট এলাকায় এসে পাকিস্তানি অস্ত্র বোঝাই যুদ্ধ জাহাজ লোরাম মাইন বিস্ফোরণ ডুবিয়ে দেন।
এমনিভাবে ৮ মাস চাঁদপুরে যুদ্ধ করে ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর শহরকে হানাদার মুক্ত করে বীর সেনানীরা লাল সবুজের পতাকা চাঁদপুর সরকারি কলেজের সামনে উড়িয়ে চাঁদপুরকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে।
বিআলো/শিলি