• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    বরগুনায় চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপির ৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা 

     dailybangla 
    30th Aug 2024 9:35 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো প্রতিবেদক: বরগুনায় চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ (৪০) পাঁচজনের নামে মামলা করা হয়েছে। আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা নামক এলাকার আব্দুস ছত্তার মৃধার ছেলে হুমায়ুন কবির মিল্টন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে আমতলী উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানায় এফআইআর নেয়ার নির্দেশ দেন।

    মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিমু আকন (৫৫), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল আকন (৩৫), উপজেলা যুবদলের ১ নম্বর সদস্য সামসু চৌকিদার (৩৮) ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান রাকিব (৩৫)।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী খুরিয়ার খেয়াঘাট নামক এলাকায় মামলার বাদী হুমায়ুন কবির মিল্টনের একটি মুদি মনোহরি দোকান আছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালের দিকে ধারালো অস্ত্র দা, রামদা ও লাঠি নিয়ে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ১৫-২৫টি মটরসাইকেলে করে কিছু লোক ওই দোকানের সামনে আসেন। এ সময় মিল্টনের কাছে তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ব্যবসায়ী মিল্টনের দাবি করা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্ত আসামিরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন। এ সময় মিল্টনের দোকান ভাঙচুর করাসহ দোকানে থাকা ৩ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এছাড়াও হামলাকারীরা দোকানে থাকা ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ ২ লাখ টাকাও নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয়।

    মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই অভিযুক্ত আসামিরা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করছেন। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে মানুষের দোকান পাঠ লুট করাসহ বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জমি জমা জোরপূর্বক দখল করার কাজও করেছেন তারা।

    বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা; বুধবারের ঘটনার সিসি ক্যামেরার এবং ভিডিও ফুটেজ চেক করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। আমি কোনো চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর মালামাল এবং নগদ টাকা লুট কোনটিই করি নাই। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সাবেক সভাপতি জালাল ফকিরের নেতৃত্বে খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি চলছিল। আমি তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এজন্য জালাল ফকির ক্ষিপ্ত হয়ে উলটো আমাদের ওপর হামলা করে এতে আমাদের কিছু লোক মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর মামলা দায়ের করা মিল্টন আওয়ামী লীগের লোক। জালাল ফকির তাকে দিয়ে আমাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করেছে।

    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আমির হোসেন বলেন, আদালতের কোনো আদেশ আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। আদেশ পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930