প্রয়োজনের বেশি থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকার: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অন্তর্বর্তী সরকার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সময় থাকবে জানিয়ে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, আমাদের তরুণ সমাজ যদি মনে করে প্রয়োজন নেই তাহলে আমরা চলে যাব। অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত ব্যবস্থাদি ও স্বল্পমেয়াদী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে, সেই প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু, তার বাইরে তো নয়। এখন আপনারা যদি মনে করেন, আমাদের তরুণ সমাজ যদি মনে করে প্রয়োজন নেই তাহলে আমরা চলে যাব। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে আমাদের একটি পরিবেশে পৌছাতে হবে, যে পরিবেশের ভেতর দিয়ে একটি নির্ভুল নির্বাচন উপহার দেওয়া যাবে। এই কাজ আমাদের করে যেতে হবে, তার জন্য সংস্কার অবশ্যই দরকার। কারণ আমাদের বিগত নির্বাচনগুলো এত খারাপ হয়েছে, আমাদের নির্বাচনের কোড অব কন্ডাক্ট আছে, এগুলো সব কিছুকেই রিভিজিট করতে হবে। ভোটার রোল রিভিজিট করতে হবে, কারণ ভোটার রোলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে, কোড অব কন্ডাক্ট খারাপ হয়ে গেছে, এই
জায়গাগুলো শোধরাতে হবে। শারমীন এস মুরশিদ বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে শোধরাতে হবে, তাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তাদের নিজেদের কাঠামোর ভেতরে। এখন শুধু যদি অর্থের শক্তি আর পেশিশক্তি দিয়ে নির্বাচন হতে হয়, তাহলে তো আমরা আগের জায়গায় ফিরে গেলাম। সেটার জন্য আমাদের অনেকগুলো সংস্কার হতে হবে।
এসব সংস্কার কাজ করতে কতদিন লাগতে পারে সেই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সেটি আমি বলতে পারব না। আমরা একটি কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, কারণ রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা এতই খারাপ। আমরা নির্বাচন দিয়ে সবটুকুই নিয়ে নেই, আর কাউকে সহ্য করি না, সকলকে আমরা দমন করি, নিজেরা একা ক্ষমতায় থাকি। এই জায়গাগুলোতে যদি পরিবর্তন করতে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিকতায় পরিবর্তন করতে হবে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের চেতনার জায়গায় একটা বিশাল শিফট ঘটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি না আমাদের তরুণ সমাজ যারা আগামী নির্বাচনের ভোটার তারা এই ধরনের অরাজকতা মেনে নেবে। যে সহিংসতাগুলো এই মুহূর্তে হচ্ছে, দখল হচ্ছে, চাঁদাবাজি হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের নামে হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো আর কতকাল তাদের মাথার উপরে এই ধরনের নোংরা অপরাধ নিয়ে ঘুরে বেড়াবে? তাদের দায়-দায়িত্ব আছে, নিজেদের সমাজের কাছে পরিষ্কার দেখানো। তাদের দায়-দায়িত্ব আছে, দেখানো যে তারা চাঁদাবাজি করে না। এই জিনিসটা তারা করুক। এটা তো অপরাধ ক্রিমিনাল অ্যাক্ট।
রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্রিমিনাল অ্যাক্ট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অদূর ভবিষ্যৎ বলে দেবে কতটুকু আমরা দেশের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা আনতে পেরেছি, রুল অব ল’ আনতে পেরেছি এবং এই জায়গাগুলোকে সুসংহত করতে পেরেছি। যত তাড়াতাড়ি আমরা করতে পারব তত তাড়াতাড়ি আমাদের কাজ শেষ।
বিআলো/তুরাগ