আওয়ামী প্রেতাত্মা এখনও সবখানে বসে আছে: আমিনুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে চলছে বদলের হাওয়া। তবে ক্রীড়াঙ্গনের সব স্থানেই এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মা বসে আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক আমিনুল হক।
গত বুধবার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যদের নিয়ে এক সভা আয়োজিত হয়। সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, ফুটবল তথা পুরো ক্রীড়াঙ্গন দলীয়করণমুক্ত করা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই সভার আয়োজন বলে জানা গেছে। সভায় উস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক এবং বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা।
বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। সেই নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভোটাররা। এখনও ভোটার তালিকা হয়নি। ভোটার তালিকায় যেন যোগ্য লোক স্থান পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করছেন সদস্যরা। সভায় আমিনুল বলেন, ‘ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন স্থানে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মা বসে আছে। তাদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদের অপসারণ করে এমন লোকদের সুযোগ দিতে হবে, যারা কোনো দলের না। যারা মাঠের ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত। যারা ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে তারাই যেন সুযোগ পায়। তাতে করেই ফুটবলের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। এছাড়া ফুটবলের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বাফুফে নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সোচ্চার আমিনুলসহ সাবেক ফুটবলাররা। তবে নির্বাচন না পেছালেও তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন আমিনুল। তিনি বলেন, আমরা বাফুফের কাছে নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছিলাম। তারা নির্বাচন পেছানোর জন্য ফিফাকে চিঠি দিয়েছিল। যদি পেছায় তবে ভালো। আর যদি নির্বাচন না পেছায় তাতেও সমস্যা নেই, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কয়েক দিন আগেই জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মন্ত্রণালয়ের আওতায় না থাকায় সেই কমিটি এখনও বহাল আছে। জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মনোনীত ব্যক্তি বাফুফের নির্বাচনে ভোটাধিকার পাওয়ার কথা।
বিআলো/তুরাগ