পিরোজপুর জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা
পিরোজপুর প্রতিনিধি: দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ এনে কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে পিরোজপুর জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের সমন্বয় মিটিংয়ে ১২ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ বেবী রানী রায়, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. বায়জিদ সেখ, হিসাবরক্ষক শিল্পি রানী ও হোস্টেল হাউজ কিপার তাহরিমা পদত্যাগের দাবিতে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তিনজন কর্মকর্তা মিলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরিবেশ নষ্ট করছে। পিরোজপুর জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র ত্রুটি দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. বায়জিদ সেখ, হিসাব রক্ষক শিল্পি রানী এবং হোস্টোল হাউজ কিপার তাহরিমা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ট্রান্সফারের সময়ে ইচ্ছে মত টাকা দাবি করে শিক্ষার্থীদের থেকে হাতিয়ে নেন। এছাড়াও চুক্তিভিক্তিক অফিস সহায়কদের স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ৫শ’ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে তারা। এছাড়াও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তারা সরিয়েছে বলেও অভিযোগ এতে তাদের পদত্যাগের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জানান, নানা অভিযোগে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে হবে। আমরা কোন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চাই না। শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই।
অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. বায়জিদ সেখ বলেন, একমাস আগে একটি মিটিং হয়েছিলো। এরপরে আমরা সময় দিতে পারিনি তবে আমরা এখন মিটিংয়ে বলেছি যে যারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের অভিযোগ যৌক্তিক হলে আমরা তাদের টাকা ফেরত দিবো।
জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ বেবী রানী রায় জানান, ওরা আমাকে কয়েকজনের কাগজ দেখিয়েছে আমরা তাদের ডাকবো। যদি প্রমাণ হয় তাহলে আমরা অফিসিয়ালি মীমাংসা করবো। আর মীমাংসা না হলে অফিশিয়ালি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
বিআলো/তুরাগ