• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    অর্ধ কিলোমিটার রেললাইনে পানি, ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ 

     dailybangla 
    30th Sep 2024 5:34 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    সজীব আলম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর এলাকায় প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রেললাইন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ওই রুটে আন্ত:নগরসহ আঞ্চলিক পথের ট্রেন যোগাযোগ অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ডুবে যাওয়া রেললাইন অংশে ট্রেনগুলোকে ধীরে চলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ রেললাইনের অংশে পানি নিষ্কাশন ও মেরামতে কাজ শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

    কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃদ্ধি পাওয়া তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি ৬ ঘন্টার ব্যাবধানে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

    রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহের মাত্রা ৫২ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ০২ সেন্টিমিটার উপরে। একই সময় কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহের মাত্রা ২৯ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার (বিপদসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ২৯ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।

    এদিকে তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের আনুমানিক ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরেছে। অনেক এলাকায় ডুবে গেছে চলাচলের রাস্তাঘাটও। চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন বন্যার্ত মানুষজন। অনেকেই আবার গবাদি পশুপাখি নিয়ে উচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কেউ কেউ উচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নাও করছেন। গতকাল রাত থেকে নতুন নতুন বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। নলকুপ ও টয়লেটে পানি উঠায় বিশুদ্ধ পানি সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়ছেন বন্যার্তরা।

    এদিকে জেলা প্রাথমিক অফিস সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের দুইটি উপজেলায় ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠার কারণে বর্তমানে সেইগুলোতে পাঠ দান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলার ১১টি এবং আদিতমারী উপজেলার ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

    লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় বলেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বিপদসীমা রেখায় উঠানামা করছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোজখবর রাখছি।

    এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্লাবিত লোকজনের তালিকা চেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউএনও তালিকা করছেন। তালিকা যাচাই বাচাই শেষে বন্যার্তদের সহায়তা করা হবে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930