প্রতিবেদনে ‘টিলার’ নিয়ে প্রকাশিত তথ্যের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ‘নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে’ শীর্ষক সংবাদে টিলারকে জড়িয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে টিলার কর্তৃপক্ষ। নগর পরিকল্পনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একটি পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে টিলার কর্তৃপক্ষের কারো বক্তব্য নেওয়া হয়নি। একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে টিলারের বিপক্ষে মনগড়া ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এতে টিলারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
যে তথ্যগুলো অসত্য, সেগুলোর ব্যাখ্যা তুলে ধরে টিলার জানিয়েছে, ‘বারোটি উপজেলার সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পের পুনঃদরপত্রের সিদ্ধান্তে টিলার প্রভাব রেখেছে বলে প্রতিবেদনে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং প্রকল্পটিতে সঠিক মূল্যায়ন হয়নি বিধায় পরিকল্পনা চর্চায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য টিলারসহ মোট তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের পিডি বরাবর লিখিত পত্র পাঠিয়েছে। প্রকল্পের পিডির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে পিপিআর বিধি অনুযায়ী ডিরেক্টর বরাবর লিখিত আবেদনে প্রকল্প পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়। প্রকাশিত সংবাদ থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রকল্পটির দরপত্র প্রক্রিয়ায় ভুল থাকায় পরিচালক কার্যাদেশ স্থগিত করে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে সুবিধা গ্রহণের মিথ্যা প্রচারণাও করা হয়েছে। টিলার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলামের কখনো কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তামজিদুল ইসলামকে ইচ্ছাকৃতভাবে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের শ্যালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে তার সঙ্গে তামজিদুল ইসলামের কোনো পরিচয়ও নেই।
অভিযোগকারীরা পুনঃদরপত্রের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমান মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই টিলারকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে টিলারকে জড়িয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা করা হয়েছে।