• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    আওয়ামী লীগ নেত্রী মতিয়া চৌধুরী আর নেই 

     dailybangla 
    16th Oct 2024 6:22 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো প্রতিবেদক: বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন।

    ১৬ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

    এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সাবেক মন্ত্রী ও মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দারও তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।

    এভার কেয়ার হাসপাতালের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ১১টার দিকে ‌’কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয় মতিয়া চৌধুরীকে। অ্যাটাক খুব ভয়াবহ ছিল। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, মতিয়া চৌধুরী দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝে তাকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    ১৯৪২ সালের ৩০ জুন মতিয়া চৌধুরী পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

    তিনি শেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।

    ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১-এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।

    ১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পর পুনরায় তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    August 2025
    M T W T F S S
     123
    45678910
    11121314151617
    18192021222324
    25262728293031