পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত আরও ২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও তাণ্ডবে আরও অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন।
প্রদেশটির কুররাম জেলায় রাতের আঁধারে সংঘাত, অগ্নিসংযোগ এবং বন্দুকযুদ্ধে তারা প্রাণ হারিয়েছেন।
ওই প্রদেশে শিয়া যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জনের প্রাণহানির পর নতুন সহিংসতায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। এতে করে গত তিন দিনের সহিংসতায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ৬৪ জনে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন জানিয়েছে, শনিবার (২৩ নভেম্বর) এই সহিংসতার ঘটনার সময় প্রাদেশিক আইনমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মুখ্য সচিব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকারের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশটির অশান্ত ওই জেলায় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তাদের মতে, সংঘাতের সময় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গুলিবর্ষণ করে, সরকারি বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর করে, মার্কেটে দোকানপাট লুট করে এবং চেকপয়েন্ট, বাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেখানে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে পারাচিনার জেলা সদর থেকে সশস্ত্র দলগুলো লোয়ার কুররামের বাগান বাজার ও আশপাশের গ্রামে হামলা চালায়। একপর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় শুরু হয়, যার ফলে ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত লোয়ার কুররামের বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলি চলতে থাকে।
কর্মকর্তারা জানায়, আপার কুররাম থেকেও মাঝেমধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে, তবে সেখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুদ্ধরত পক্ষগুলো নারী ও শিশুসহ অনেককে জিম্মি করেছে এবং নিহতদের লাশ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জানান, জিম্মিদের মুক্তি এবং মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধারের জন্য আলোচনা চলছে। হামলার কারণে স্থানীয়রা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে থাল ও হাঙ্গুর নিকটবর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে শনিবার আইনমন্ত্রী আফতাব আলম আফ্রিদি, কেপি পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত খান, মুখ্য সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার সাইফ, কোহাট কমিশনার এবং আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে কুররামে যান। সূত্র: ডন নিউজ
বিআলো/শিলি