• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    কোনোভাবেই ডলার বাজারে অস্থিরতা কাটছেই না 

     dailybangla 
    08th Jan 2025 9:27 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    অর্থনৈতিক ডেস্ক: দুই বছর ধরে এক ডলারেই নাকাল ছিল অর্থনীতি। মাঝখানে কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও আবারও অস্থির হয়ে উঠছে মার্কিন এই মুদ্রার দর। সরকার ঘোষণা দিয়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়ার পর খোলাবাজারে এই অস্থিরতার রেশ আরো বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কঠিন হয়ে পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানিনির্ভর পণ্যের পেছনে খরচ বাড়ছে। এতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। আর জিনিসপত্রের দামেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করেছে যে ডলারপ্রতি ১২৩ টাকার বেশি দাম দেওয়া যাবে না।

    ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি রেমিট্যান্স ডলার ও রপ্তানি আয়ের ডলারের জন্য একই দাম প্রযোজ্য হবে; কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে জরিমানা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি পরিত্যাগ করে দিনে দুইবার ডলারের দাম (ভিত্তিমূল্য) নির্ধারণ করে বাজারের ওপর ডলারের দামের ওঠানামাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১২ জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর হবে। বিশ্লেষকরা এই পদক্ষেপকে সঠিক মনে করছেন না।

    বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ব্যাপক হারে দেশে মার্কিন ডলারের মূল্য বাড়তে শুরু করে। ওই বছরের ৩০ মার্চ ডলারের অফিশিয়াল দর ছিল ৮৬.২০ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে এখন ১২৩ টাকায় উঠেছে। ৩৩ মাসের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ৪২.৬৯ শতাংশ। তবে ব্যাংকগুলো আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম ১২৩ টাকার বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ ব্যাংকগুলো গোপনে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে প্রবাস আয় বা রেমিট্যান্স কিনছে।

    রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ার কারণে প্রতিবছর বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ে বাংলাদেশ। এই ঘাটতি কমাতে গত বছর আমদানির ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিলাসী পণ্যে শতভাগ অগ্রিম জমা রাখা এবং ৩০ মিলিয়নের বেশি মূল্যের এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া অন্যতম। তবে এখন সেসব শর্ত শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। এতে ডলার খরচ বাড়ছে। সামনে ডলারের চাহিদা আরো বাড়লে দর আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    এভাবে ডলার যত ব্যয়বহুল হবে, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে খরচ বাড়বে। ফলে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে স্থানীয় শিল্পের উৎপাদনে ও রপ্তানিমুখী শিল্পে। আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিদিনের একটি ভিত্তিমূল্য বা রেফারেন্স প্রাইস বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।

    এ মন উদ্যোগ আগেও ছিল, কিন্তু বাজার স্বাভাবিক হয়নি। সামনে যদি ডলার বাজার আরো অস্থির হয়, তাহলে এর প্রভাবে জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    August 2025
    M T W T F S S
     123
    45678910
    11121314151617
    18192021222324
    25262728293031