অর্থনীতির উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ নৌপথকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে: উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নদীর নাব্যতা রক্ষায় শুধু সরকার নয় ব্যবহারকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের নদীসমূহের নাব্যতা রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল শেরাটন, বনানীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কাটার সাকশন ড্রেজার্স অ্যাসোসিয়েশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন এবং রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত “নৌপরিবহণ ও নাব্যতা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নদী শাসনের নামে নদীকে সংকুচিত করে ফেলেছি। ড্রেজিং ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তদুপরি নদীপথে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নদী বন্দর চালু রাখতে হলে ড্রেজিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে জনসাধারণের সুবিধার কথা চিন্তা করে ড্রেজিং করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে ভোলা এবং বরিশাল জেলার নদী বন্দর এবং লঞ্চঘাটগুলো চালু রাখার জন্য বেশ কিছু নদীপথ ড্রেজিং করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ এবং নদীতে বাধ দেওয়ার কারণে পলি জমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদীগুলোকে আমাদের বাঁচাতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের এ যুগে এসে আরো বেশি করে নদী বাঁচাতে হবে। আমাদের সৌভাগ্য যে এতগুলো নদী এদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন দিয়ে শুরু করে আমি পরিবেশ আন্দোলন অনেকদিন থেকে করেছি, এখনো করছি ভদ্রভাবে, এখান থেকে আবার যখন ফেরত যাব পরিবেশকর্মীই থাকতে চাই। আমরা দেখেছি যে অন্যান্য পরিবেশ বিষয়ে মানুষের যে-রকম আবেগ জাগে নদীর ব্যাপারে মানুষের আবেগ সেরকম ভাবে জাগে না। যার জন্য বাংলাদেশের জেলায় জেলায় আছে নদী রক্ষার আন্দোলন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার এর চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ এজাজ।
সেমিনারে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ,বিআইডব্লিটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু এসময় উপস্থিত ছিল।
বিআলো/তুরাগ