তিস্তা পাড়ের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নিয়ে আসাদুল হাবিব দুলু’র পদযাত্রা
সজীব আলম, লালমনিরহাট: ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ এই স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগ নিয়ে লালমনিরহাটে জেলা শহরে তিস্তা পাড়ের প্রায় ১০ হাজার মানুষের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু’র নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে পদযাত্রাটি লালমনিরহাট রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে মিশন মোড় গোল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
এসময় তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব বলেন, তিস্তা অববাহিকার রংপুর অঞ্চলের মানুষের জীবন–জীবিকার মূল চালিকা শক্তি তিস্তা নদী। এক সময়ের প্রমত্ত তিস্তাকে এ অঞ্চলের জীবন রেখা বলা হতো। কিন্তু তিস্তা নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণের কারণে তিস্তা নদী আজ শীর্ণ, স্থবির, একটি মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত। বর্ষা ও খরা উভয় মৌসুমে তিস্তা এখন এ অঞ্চলের গণমানুষের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। বর্ষাকালে ভারতের বাঁধ থেকে বিনা নোটিশে পানি ছাড়ায় তিস্তার দুকূল প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, আবাদি ফসল মুহূর্তেই বিলিন করে ফেলে, জনজীবন বিপন্ন করে তোলে। আবার খরার মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহ প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ফলে তিস্তা নদীর দুইপাড়ের মাইলের পর মাইল এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়ে চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
আসাদুল হাবিব আরও বলেন, তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। কিন্তু এই তিস্তা অববাহিকার মানুষ দীর্ঘ দিন পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে রাজনৈতিক স্থবিরতা। তাই পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তিস্তা নদী অববাহিকার মানুষের দুর্বিষহ বিপন্ন অবস্থা থেকে মুক্তির দাবিতে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে একটি সামাজিক আন্দোলন চলমান আছে। আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘন্টা তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিআলো/শিলি