আত্মিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে তাসাউফ চর্চা: পীর লালকুঠি পাক দরবার শরীফ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক ও তরিকৃত জগতের মধ্যমণি হজরত খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রহ.) এবং তার স্নেহধন্য মেজো পুত্র, বাংলা সাহিত্যের অমর লেখক, আধ্যত্ম জগতের ধ্রুবতারা, গ্রন্থকার, হজরতুল্লামা খাজা ছাইফুদ্দীন এনায়েতপুরী-শম্ভুগঞ্জী (রহ.)-এর মুস্তাহসান ওরছ মুবারক ময়মন-সিংহ শম্ভুগঞ্জ লালকুঠি পাক দরবার শরীফে ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, গদীনসিন পীর, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক, হজরত মাও. খাজা সুজাউদ্দৌলা (মা.জি.আ.)। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান মুসলিম বিশ্ব দিনদিন ইসলামের মূলধারা থেকে বেরিয়ে নৈতিক পদস্খলন এবং মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে। এ সমস্ত বিবেকবর্জিত, মুসলমানদের শরিয়ত ও তরিক্বতের জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ইসলামের সঠিক রূপরেখায় আনায়ন করতে হবে। এজন্য তাসাউফ চর্চা সকলের জন্য অতীব জরুরি। কারণ আত্মিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে তাসাউফ চর্চা। এ চর্চার মাধ্যমে মানুষের আত্মদর্শন ও আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হয়।
অতিথি ছিলেন, কবি-সাহিত্যিক, স্থপতি, সাবেক বিমান পাইলট, আত্মিক শুদ্ধপুরুষ, পীরজাদা খাজা আলাউল হক অলি। তিনি বলেন, আহলে বায়’আতের প্রতি আমাদের যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আহলে বাস্তুআতের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। মাওলা ইমাম হোসাঈন (আ.)- জালিম শাসক, নরকের কীট এজিদ লানাতুল্লাহি আলায জ্বালিমের আনুগত্য মেনে না নিয়ে সপরিবারে শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করে ইসলামের বিজয়কে সুনিশ্চিত করেছেন কিয়ামত অবধি। তিনি বর্তমান প্রজন্মকে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
এ উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে ছিল- পতাকা উত্তোলন, কুরান পাঠ, হামদ, নাত, মানাকাবাত পরিবেশন, ওয়াজ-নসিহত, রুহানী বয়ান, জিকির-আজকার, মুরাকাবা, জিয়ারত, জিয়াফত। অনুষ্ঠানে দেশেরর নানা প্রান্ত থেকে জ্ঞানীগুণী আলেম-ওলামা, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
বিআলো/তুরাগ