আলী জুলফিকার জাহেদীর উপন্যাস ‘অক্ষরের ফাঁদ’
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক আলী জুলফিকার জাহেদী। এবার তিনি প্রকাশ করেছেন তার প্রথম উপন্যাস “অক্ষরের ফাঁদ”। ২০২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে “আইডিয়া প্রকাশন”। এটি একুশে বইমেলার ৪৪৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে । প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্টদের মতে বইটি বাংলা সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রেম, দর্শন ও অনুভূতির সংমিশ্রণে “অক্ষরের ফাঁদ” উপন্যাসটি পাঠকদের এক ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতার স্বাদ দেবে।
গল্পের ভেতরে এক অন্তর্জাগতিক যাত্রা “অক্ষরের ফাঁদ” । এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়; এটি এক লেখকের মানসিক দ্বন্দ্ব, আত্মঅনুসন্ধান এবং অস্তিত্বের গভীর সংকটের অনুপম চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি শব্দ, বাক্য ও অধ্যায়ের গভীরে লুকিয়ে আছে জীবনবোধের সূক্ষ্ম ছোঁয়া, যা পাঠকদের নতুন ভাবনার জগতে নিয়ে যাবে। গল্পের কাহিনি ধীরে ধীরে রহস্যময় এক গভীর প্রেমের আখ্যান উন্মোচন করে, যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠকদের মুগ্ধ করে রাখবে। লেখকের গভীর পর্যবেক্ষণ, সংবেদনশীল প্রকাশভঙ্গি ও সাহিত্যিক দক্ষতা উপন্যাসটিকে দিয়েছে এক অনন্য মাত্রা।

উপন্যাসটি প্রসঙ্গে আলী জুলফিকার জাহেদী বলেন, এই উপন্যাস আমি অনেক আগে লিখেছিলাম। এর কাহিনিকেই উপজীব্য করে আমার ‘কাগজ’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলাম। এবার সেই গল্পই উপন্যাসের রূপে পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কাগজ’ চলচ্চিত্রটি ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয় এবং একাধিক পুরস্কার ও মনোনয়ন লাভ করে।
প্রসঙ্গত, আলী জুলফিকার জাহেদী বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ব্যবসায় প্রশাসনে (বিবিএ এবং এমবিএ), মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা (পিজিডিপিএম) এবং বিজ্ঞাপনে উচ্চতর ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন।
শিক্ষাজীবন শেষে তিনি কর্পোরেট জগতে কর্মজীবন শুরু করলেও তার প্রতিভা ও শিল্পের প্রতি নিবেদন তাকে সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের জগতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে আবেগ ও সংকল্প থাকলে এক ক্যারিয়ার থেকে অন্য ক্যারিয়ারে সফলভাবে রূপান্তর সম্ভব এবং শিল্পের মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করা যায়।
শুধু একজন পরিচালক ও লেখক হিসেবেই নয়, তিনি শতাধিক গানের গীতিকার হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ, তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে “ভারতীয় মুভি প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন” (আইএমপিপিএ) এবং “ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন” (আইএফটিডিএ)-এর আজীবন সদস্যপদ লাভ করেন।
বিআলো/তুরাগ