আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমির
বিআলো ডেস্ক: বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না উল্লেখ করে জামায়াত আমির লেখেন, বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক অতিক্রম করছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহর একান্ত মেহেরবানিতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি লেখেন, বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া।
তিনি আরও লেখেন, জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে জামায়াত আমিরের আহ্বান নির্মম হামলা ও গণহত্যা বন্ধে, মজলুম গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্বের বিবেকবান ও শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের (ব্রাঞ্চ-৩) মাঠে আজ কাফরুল থানা পশ্চিম জামায়াত আয়োজিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সভাপতিত্ব করেন থানা আমির আবদুল মতিন খান।
সাধারণ সম্পাদক আতিক হাসান রায়হানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম এবং সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গাজা সবসময় অপরাজেয়। কারণ, গাজাবাসীরা কোরআনের সঙ্গী ও কোরআনের যোদ্ধা। তারা ভয়কে জয় করেই গাজায় বসবাস করছেন। তাদের জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় সেখানেই রয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের সব মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। এ নির্মমতা দেখে কারও পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়েই এসব মজলুম ভাইবোনের পাশে দাঁড়াতে হবে।
জামায়াত আমির বলেন, মানবরচিত মতবাদে দেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে এত অস্থিরতা ও অশান্তি। মূলত, সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআনকে বিজয়ী করা গেলে কোনো ধর্মের মানুষেরই সমস্যা থাকবে না।
বিআলো/শিলি