বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রালারে গণডাকাতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ১০ ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ কুপিয়ে প্রায় অর্ধশত জেলে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ট্রলার থেকে লুটে নেয়া হয়েছে জাল, মাছ, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন।
জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে বড় বাইজদা এলাকায় মাছ শিকার করছিলেন জেলেরা। এ সময় সশস্ত্র জলদস্যুরা তিনটি ট্রলার নিয়ে ঘিরে ফেলে এফ বি জুনায়েদ ট্রলারের জেলেদের। জেলেরা বাধা দিলে ডাকাতেরা গুলি ছোড়ে।
এ ছাড়াও পাথরঘাটার সগির কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি তারেক, এফবি তুফান, নুর মোহাম্মদের মালিকানাধীন এফবি রাজু ও সেলিম চৌধুরীর মালিকানাধীন এফবি-মাসহ আরও ৯টি ট্রলারে হামলা করে জলদস্যুরা। এসময় জেলেদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জ্বালানি-রশদসহ শিকার করা মাছ ও জাল-দড়ি লুট করে নেয়া হয়।
জেলেরা জানান, ডাকাত দলের সদস্যদের বেশিরভাগ বরিশালের ভাষায় কথা বলেছে। তবে কেউ কেউ নোয়াখালীর ভাষায়ও কথা বলেছে। ডাকাতেরা ট্রালার থেকে যা পেয়েছে সব নিয়ে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত ১৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে একজন বন্দুকের গুলিতে আহত হয়েছেন। দুজন গুরুতর আহত। এই দুজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ভোলা উপকূল থেকে ৪০-৫০ কিলোমিটারের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বরিশাল থেকে গিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাকাতেরা বরিশালের ভাষাতেই কথা বলেছিল।
কোস্টগার্ড-নৌপুলিশের সমন্বয়ে সকল বাহিনী অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ডাকতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এই ঘটনায় ভোলায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিআলো/শিলি