মাদক কারবারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন জামালপুরের এসপি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম
সুমন সরদার: মাদক কারবারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা। মাদকের সঙ্গে সমঝোতা না করে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিতাড়িত করার আহবান জানান তিনি।
১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের আয়োজনে পুলিশিং সভায় দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচাজ নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ মরণব্যাধি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে সকল সমস্যা বিদ্যমান তার একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে মাদকের ভয়াল থাবা। দিন দিন মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।
বর্তমানে দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদকের কেনাবেচা হয় না। শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও এটি সহজলভ্য। আমাদের দেশে প্রচলিত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, মদ, আফিম, হেরোইন, কোকেন, প্যাথেডিন, বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধ, এমনকি জুতার আঠাও রয়েছে। এসব ভয়ানক নেশা জাতীয় দ্রব্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে গেছে।
এসব মাদকের বেশির ভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার হতে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে। মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ মাদকের বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এশিয়ার গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ওয়েজ নামে পরিচিত মাদক চোরাচালানের তিনটি প্রধান অঞ্চলের কেন্দ্রে বাংলাদেশের অবস্থান।
তাই আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিরাও বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে সহজে ব্যবহার করতে পারছেন। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে শত শত নদ-নদী দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। মাদক চোরাকারবারিরা সমুদ্র উপকূল ও জলপথকে তাদের পণ্য পাচারের খুবই উপযুক্ত পথ হিসেবে বিবেচনা করেন।
এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে মাদকের রুট। পুলিশ সুপার বলেন, মাদকের সঙ্গে সমঝোতা না করে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিতাড়িত করতে হবে।
বিআলো/শিলি