সীমা আক্তার: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উত্তরা আজমপুর রেলগেট বটতলা এলাকায় অবস্থিত রোকেয়া ক্লিনিকের পরিচালক মাসুদ রেজাকে(৪০) গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।ll আটককৃত আসামী মাসুদ রেজাকে উত্তরার ৪নং সেক্টকের রেলগেট সংলগ্ন ফরিদ মার্কেট এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিবেককে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, উত্তরা পূর্ব থানার চৌকস দলের সহযোগিতায় সাব ইন্সপেক্টর কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আজ সোমবার (১২মে)আনুমানিক দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজধানাীর বিভিন্ন থানায় একাধিক ছাত্রহত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। আর এই অভিযোগের সুত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় মাসুদ রেজাকে। দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাকৃত এই আসামি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলেও জানা যায়।

এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটককৃত মাসুদ রেজা রোকেয়া ক্লিনিক নামক হাসপাতালকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার প্রলোভন দেখিয়ে
সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে গড়ে তোলেছে তার পাপের সাম্রাজ্য।

একের পর এক রোকেয়া ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং স্বনামধন্য টেলিভিশন চ্যানেলে নিউজ প্রচার ও প্রকাশ হওয়ার পরও থেমে থাকে নি তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, স্টাফ এমনকি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরও তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ রয়েছে।

শুধু তাই নয়, এ নিয়ে কথা বলায় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদেরও একাধিকবার হুমকি দিয়ে এসেছে বলে জানা যায়।
অসহায় রোগীদের আহাজারী আর কাঙ্খিত চিকিৎসার অবহেলায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠলেও পতিত সরকারের দূসর মাসুদ রেজা ছিল টাকার নেশায় চরম বিভোর।

বিআলো/তুরাগ