গাজায় ক্ষুধায় ২৯ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ক্ষুধাকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতীর পর এই উপত্যকাটিতে ডুকতে দেয়া হচ্ছে না ত্রাণসহায়তা। ফলে দিন দিন অনাহারজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, খাবারের অভাবে এ পর্যন্ত আরও ২৯ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। মৃতদের সবাই শিশু ও বৃদ্ধ। এছাড়া হাজারো মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আলজাজিরা
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানায়, সম্প্রতি যেসব শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে অনাহারে, যাকে ‘অনাহারজনিত মৃত্যু’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং হাজারো মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে। এরপর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ৩ হাজার ৬১৩ জনকে হত্যা করেছে এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে। এতে করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যত বাতিল হয়ে গেছে।
গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ২২ হাজার ১৯৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে গাজা সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আসল মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি, কারণ ধ্বংসস্তুপের নিচে নিখোঁজ বহু মানুষকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হচ্ছে।
বিআলো/শিলি