ফটোজার্নালিস্টদের ছবি দিয়ে সাইবার স্পেসে ফটো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে : উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, ফটোজার্নালিস্টদের তৈরি করা ছবি দিয়ে সাইবার স্পেসে ফটো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে আমরা সংগ্রামী চিত্রগুলো যুগ যুগ ধরে খুঁজে পাই। তিনি গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের জাতীয় আলোকচিত্রের “রূপসী বাংলা” প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে দুইজন ফটোসাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয় এবং তিনজন ফটোসাংবাদিককে সেরা প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঘোষনা করা হয়।
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি একে এম মহসীনের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কালেরকন্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, প্রজাতন্ত্র কিউবার অনারারী কনস্যুল ওবেইদ জায়গীরদার, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিপিজেএর সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, সিনিয়র সহসভাপতি মশিউর রহমান সুমন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেকুজ্জামান চৌধুরী রাজিব, কোষাধ্যক্ষ নাসিম শিকদার, প্রচার সম্পাদক সৌরভ লস্কর সহ বিপিজএ সদস্যরা।
উপদেষ্টা বলেন, আলোকচিত্র একটি অত্যন্ত ক্ষমতাশীল মাধ্যম। ভাষা যেটা ব্যক্ত করতে পারে না, কিন্তু একটি ছবি হাজারটা কথা ব্যক্ত করতে পারে। আমরা এই ক্ষমতাটা… আপনারা যারা এই দক্ষতা ধারণ করেন এবং এই ইতিহাসটা যুগ যুগ ধরে ছবির মধ্য দিয়ে রক্ষা করছেন তারা হলেন ফটোসাংবাদিক। ফটোসাংবাদিকদের এই আজকের রূপসী বাংলা প্রদর্শনী, বাংলার রূপ মানুষের সম্মুখে আনতে চায়।
তিনি বলেন, আসলে এই বাংলার রূপটা কি? আমার তরুণ সমাজ আমার বাংলার রূপ। জুলাই আন্দোলন বাংলা রূপ। একাত্তরের যুদ্ধে তরুণরা করেছিল, ঠিক তেমনি ২৪শে যুদ্ধেও তরুণরা করেছিল। এই যে ছাত্র জনতা, তরুণ সমাজের সত্যের যে নিষ্ঠা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ এটাই বাংলা রূপ। যুগে যুগে আমরা এই রূপটাকে ধারন করতে চেয়েছি। আমার গণতন্ত্র, সমতা, ন্যায্যতা সব কিছু যেন হারিয়ে যেতে চায় এবং বারবার এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা সেটা ফিরিয়ে আনি। আপনারা সেই ফিরিয়ে আনা সংগ্রামের সৈনিক। আপনাদের ছবিগুলো আমরা দেখেছি পত্রিকায়। একটা অনুরোধ এই ইনস্টিটিউশনে এমন একটি জায়গা তৈরি হোক যেখানে আপনাদের তৈরি করা ছবির সুরক্ষা মধ্য দিয়ে সংরক্ষিত থাকবে। আপনাদের তৈরী করা ছবি দিয়ে সাইবার স্পেসে ফটো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে আমরা সংগ্রামী চিত্র গুলো যুগ যুগ ধরে খুঁজে পাই।
এসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কালেরকন্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, আমি ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সবসময় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। ফটো সাংবাদিকরা সবসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। একটা ফটোর আবেগ অনেক বেশি। একটা ছবির জন্য পরিশ্রম করতে হয় শহর, গ্রাম গঞ্জে ছুটে বেড়ান। তাদের এই পরিশ্রমের ফসল ছবির মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই।
বিআলো/তুরাগ